ভোট না হলে গণঅভ্যুত্থান দুটি সাংবিধানিক পদ্ধতি এমনটা উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ফয়সালা হবে রাজপথে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বুধবার স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। স্মরণ সভার আয়োজন করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল।
দুদু বলেন, ‘তথাকথিত বলেন অনির্বাচিত নিশিরাতের প্রধানমন্ত্রী বলেন না কেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চেয়ারে বসে আছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন- আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে আসেন, আমি আপনাদের চা খাওয়াব। অথচ আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে এমন কোনো কর্মসূচি দেইনি। তার মানে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী এখন বিএনপির কর্মসূচি নির্ধারণ করতে চান।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘চায়ের দাওয়াত না দিয়ে জাতির সামনে বলেন যে, আসুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে আলোচনা করি, তাহলে আপনি মহারানি হয়ে থাকবেন। আমরা গণতন্ত্র চাই, ভোটের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চাই। তবে এর অর্থ এই নয়- ভোট না হলে সরকারের পরিবর্তন করব না?’
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের বিশ্বস্ত কর্মী। আমরা জানি কীভাবে পরিবর্তন করতে হয়। আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) পরিবর্তন করতে ভোট নাকি গণঅভ্যুত্থান। জনগণও গণঅভ্যুত্থান চায়। ভোট না হলে গণঅভ্যুত্থান দুটি সাংবিধানিক পদ্ধতি। তাই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথ একমাত্র ফয়সালা হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের বক্তব্য রাজপথে ফয়সালা হবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রয়াত শফিউল বারী বাবু ৮৯ এর গণঅভ্যুত্থানের একজন নায়ক ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে তিনিও গণঅভ্যুত্থান চাইতেন। তার স্বপ্নকে বুকে নিয়েই আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।