নওগাঁয় অনাবৃষ্টিতে ব্যহত হচ্ছে আমনের আবাদ। বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক কৃষক জমিতে ধান রোপন করতে পারছেন না। অনেকে স্যালোমেশিন দিয়ে ঘন্টা চুক্তিতে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। খরচ বেশি হওয়ায় সবার পক্ষে এই সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পানির অভাবে ধানের চারা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এখন চারা বাঁচাতে আকাশের দিকে চেয়ে আছেন চাষীরা।
আমন ধান বৃষ্টি নির্ভর। আষাঢ় মাসের শুরুতে সাধারণত বৃষ্টি হয়। আর বৃষ্টির পানি জমিতে আটকে রেখে চাষাবাদ করা হতো। এ বছর আষাঢ় শেষে শ্রাবণ মাস শুরু হলেও বৃষ্টি নেই নওগাঁয়। প্রখর রোদে সব শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে আমন ধান রোপণ।
নদী-নালা থেকে সেচ পাম্প দিয়ে অনেক কৃষক পানি সংগ্রহের চেষ্টা করছে। তবে, এই প্রক্রিয়ায় খরচ বেশি পড়ায় সব কৃষকদের পক্ষে এ পথ অনুসরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। নিয়মিত পানি দিতে না পারায় মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সময়মতো বৃষ্টি না হলে আমন চাষ হুমকির মুখে পড়বে বলে জানালেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম মনজুরে মাওলা জানালেন, আগামী ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত আমন ধান রোপন করা যাবে। এরমধ্য বৃষ্টি না হলে রোপা আমনের যাতে কোনো ঘাটতি না হয় এজন্য ৬৩ হাজার গভীর ও অগভীর নলকূপ ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে।