২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়। এরপর গত সাত বছরে ৭৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল। দীর্ঘ বিরতির পর গতকাল ডোমিনিকা প্রত্যাবর্তন হয় তার। আবারও জাতীয় দলের রঙিন জার্সিতে মাঠে নামেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তবে ফেরার মঞ্চটা খুব একটা রাঙাতে পারেননি তিনি, করেছেন ১০ বলে ১৬ রান।
ওপেনিংয়ে নামা বিজয় স্কোরটা খুব বড় করতে না পারলেও ম্যাচে ইতিবাচক মনোভাবে ইনিংস শুরু করেছেন। এই ব্যাটারের ইতিবাচক মনোভাব, দ্রুত রান তোলার তাড়না, দুর্দান্ত ফিল্ডিং মনে ধরেছে জাতীয় দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর। তাই বিজয়ের থেকে বড় কিছুর আশায় আছেন ডোমিঙ্গো।
প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষে টাইগার কোচ বলেছেন, ‘সে (বিজয়) টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই খেলেছে। বেশ পরিশ্রম করেই ফিরেছে। তার উপস্থিতি ভালো লাগছে। রান করতে মুখিয়ে আছে। ফিল্ডার হিসেবেও দারুণ। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের নামের পাশে দারুণ ফর্ম ও অভিজ্ঞতা নিয়ে সে আবার ফিরেছে। শক্তিশালী দলে এমন কাউকে প্রয়োজন। তবে তাকে রান করতে হবে। শুরু পেয়েছে বেশ কিছু ইনিংসে। সেগুলোকে বড় করতে হবে।’
ডোমিনিকার বৃষ্টিতে ভেসে যায় প্রথম টি-টোয়েন্টি। বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৫ রান তোলে। ব্যাট হাতে সাকিব কিছুটা সফল হলেও বাকিরা সবাই ছিলেন ব্যর্থ। তবুও টাইগারদের পাশেই আছেন তাদের গুরু। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের কিছু ছেলে বেশ কয়েক সপ্তাহ খেলায় ছিল না। আফিফ, মাহমুদউল্লাহ- ওরা ভালোমতো অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। মাহমুদউল্লাহ তো আমার মনে হয় ওর সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়।’
দ্বিতীয় ম্যাচে ভুল শুধরে ভালো কিছুর প্রত্যাশা করছেন কোচ, ‘সাকিব ভুল সময়ে আউট হয়ে গেছে। ওর কাছ থেকে আমাদের বড় স্কোর দরকার ছিল। সোহানও এই সংস্করণে ভালো। ও বিগ হিটার, শক্তিশালী ব্যাটসম্যান। কিন্তু সেও ভুল করে আউট হলো। তার জন্য এটা শেখার একটা দিন। তবু দেখে ভালো লাগছে যে সে ফর্মে আছে।’