বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বাজার বেশ প্রসিদ্ধ। রাজনৈতিক মারপ্যাঁচের কারণে শুধু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ছাড়া বিশ্বের বাকি টুর্নামেন্টগুলোতে চাহিদার বড় অংশজুড়ে রয়েছে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। যার ফলে বিশ্বের যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নির্দ্বিধায় শর্ত সাপেক্ষে খেলতে পারতেন পাক ক্রিকেটাররা। কিন্তু এবার বাবার আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি, রেজওয়ানদের অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় সাইট ‘ইএসপিএনক্রিকইনফো’। ক্রিকইনফো তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেছে, আসন্ন বিবিএল মৌসুমে পাকিস্তানি কোনও খেলোয়াড়কেই এনওসি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ এবং ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির ছাড়পত্র ইস্যুতে শিগগিরিই সিদ্ধান্ত নেবে পিসিবি।
পিসিবির এমন সিদ্ধান্তের ফলে আগামী বছরে সংযুক্ত আরব-আমিরাতে হতে যাওয়া আইএল টি-টোয়েন্টিতে বাবর-আফ্রিদিদের অংশগ্রহণ অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে গেলো।
বিগ ব্যাশ পাক খেলোয়াড়দের অনুমতি না দেয়ার কারণ হিসেবে ব্যস্ত সূচিকে সামনে এনেছে পিসিবি। তবে কেন জাতীয় বা ঘরোয়া পর্যায়ে চুক্তিবিহীন খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট করেনি তারা। এছাড়াও বিদেশি লিগ খেলতে না দিলেও ক্রিকেটারদের ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি এবং ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার নতুন লিগ যুক্ত হওয়ায় পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের চাহিদা আগের চেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু খেলার জন্য ছাড়পত্র না পাওয়ার ঘোষণায় পাকিস্তানের শীর্ষ খেলোয়াড়দের বড় আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত হতে হবে।
অবশ্য ইতোমধ্যে বিগ ব্যাশের ড্রাফটের জন্য ৯৮ জন বিদেশি খেলোয়াড়দের তালিকায় একজনও নেই পাকিস্তানের। ধারণা করা হচ্ছে শেষ সময়ে তারা ড্রাফটের জন্য নাম নিবন্ধন করবেন। অন্যদিকে আইএল টি-টোয়েন্টি লিগে পাকিস্তানের অধিকাংশ ক্রিকেটাররাই খেলবেন বলেই শোনা যাচ্ছে।