জিম্বাবুয়ে সফর শেষে দলের সঙ্গে দেশে ফিরেননি কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এশিয়া কাপকে সামনে রেখে আজই তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। ঢাকায় পা রেখেই তাকে পেতে হবে দুঃসংবাদ। কারণ আসন্ন টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে কোচ থাকছেন না তিনি।
ডমিঙ্গোর পরিবর্তে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে থাকবেন ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে শ্রীরামের চুক্তি হয়ে গেছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই কাজে যোগ দেবেন তিনি।
যদিও দেশের ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছিল জেমি সিডন্স এশিয়া কাপে টাইগারদের প্রধান কোচের ভূমিকায় থাকবেন। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মুখ ফসকে প্রধান কোচ হিসেবে সিডন্সের নাম বলে ফেলেন। তবে সন্ধ্যায় বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, আইপিএলে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় শ্রীরামকেই প্রধান কোচ করা হবে। এশিয়া কাপ ভালো করলে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপেও থাকবেন শ্রীরাম। দীর্ঘ মেয়াদেও টি-টোয়েন্টি কোচ করা হতে পারে তাকে।
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কথায় ধারণা পাওয়া গেছে টেস্ট, ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি দলেও ব্যাটিং কোচ হিসেবে থাকবেন জেমি সিডন্স। এশিয়া কাপ দিয়ে সিডন্সেরও একটা পরীক্ষা নেয়া হবে। বিসিবি পরখ করে দেখতে চায়, পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে কেমন করেন তিনি।
পাপন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ইঙ্গিতও দিয়ে বলেছিলেন, ‘জেমি সিডন্স আমার বাসায় এসেছিল পরশু দিন। শুনলাম এখানে প্র্যাকটিস হচ্ছে। পাওয়ার হিটিংয়ের ওপর কাজ করছে। আমরা একজন পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়ে আলাপ করছিলাম, তখন জেমি বলল ওর নাকি এটাতে বিশেষত্ব আছে। এ জন্যই সে কাজ করছে। এশিয়া কাপের বাকি আছে ১১ দিনের মতো। হঠাৎ করে একজন কোচ এসে সব উন্নতি করে ফেলব এটা ভাবা ঠিক হবে না। এ সময় পাওয়ার হিটিং কোচ আনা হলে তেমন কিছু করতে পারবে না। এশিয়া কাপটা দেখি সে কী করে।’
শ্রীরাম ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ভারত জাতীয় দলে খেলেছেন আটটি ওয়ানডে। অস্ট্রেলিয়া দলে স্পিন কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের ভারত সফরে কোচিং রোলে ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরেও ছিলেন। ২০১৯ সালে অ্যাশেজ সিরিজেও অস্ট্রেলিয়ার কোচিং স্টাফের অন্যতম সদস্য করা হয়েছিল তাকে।
২০১৯ সালে আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং ও স্পিন কোচ ছিলেন শ্রীরাম। তামিলনাড়ূর এ ক্রিকেটারের ঘরোয়া রেকর্ড খুবই সমৃদ্ধ। রঞ্জি ট্রফিতে এক মৌসুমে রেকর্ড ১০৭৫ রান করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ভালো করা ৪৬ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এ ভারতীয়কে করা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি কোচ।