ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নতুন ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামকে (এফটিপি) দেশের জন্য একটি বড় অর্জন বলে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিশেষ করে ক্রিকেট বিশ্বের সকল দল টাইগারদের বিপক্ষে খেলার আগ্রহ দেখিয়েছে।
সর্বশেষ ঘোষিত এফটিপি, যা ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত চলবে। এ সময়ে বাংলাদেশ ৩৪টি টেস্ট, ৫৯টি ওয়ানডে এবং ৫৭টি টি-টোয়েন্টি খেলবে। তিনটি ফরম্যাট মিলিয়ে ১৫০টি ম্যাচ, এই চক্রে যেকোন দলের জন্য সর্বোচ্চ ম্যাচ।
আজ বিসিবি বস বলেন, ‘এখন এফটিপিতে আমাদের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ আছে। এটা অবিশ্বাস্য। আমরা ভাগ্যবান। কোচিং স্টাফদের কথা ভাবুন, শুধু ক্রিকেটারদের নয়, কেউ নিঃশ্বাস নেয়ার সময় পাবে না। আমরা যেসংখ্যক ম্যাচ পেয়েছি, তাতে অনেক কিছুই প্রমাণিত হয়েছে। আইসিসি বা অন্যান্য দেশগুলো এখন বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা আমাদের সাথে খেলতে চায়।’
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়াও প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন টুর্নামেন্ট, প্রতিযোগিতা এবং আইসিসি ইভেন্ট থাকছে। প্রতি দুই বছর পরপর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এফটিপির বাইরে বাংলাদেশের জন্য এসব খেলাগুলো বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
বিষয়টি স্বীকার করে পাপন বলেন, ‘এফটিপির বাইরেও ম্যাচ আছে। ভবিষ্যতে আরও কিছু ম্যাচ নিয়েও আমাদের আলোচনা হয়েছে। আইসিসি, এসিসি ইভেন্ট আছে। অবিশ্বাস্য। এটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এতগুলো ম্যাচ পাওয়া, আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। কিন্তু এটি পরিচালনা করা বড় চ্যালেঞ্জ। আমি বোর্ডের সকলের সাথে আলোচনা করেছি, আমরা কিভাবে এই বিরাট চাপ মোকাবেলা করতে পারি।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২১টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দু’টি টেস্টের পাশাপাশি নয়টি ওয়ানডে এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি রয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪টি টেস্ট ছড়াও ৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি রয়েছে।
৭৬টি হোম এবং ৭৪টি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই চক্রে, ইংল্যান্ড সফর পায়নি বাংলাদেশ, যা হতাশার। তবে ২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মতো ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সফর করবে বাংলাদেশ। ঐ সফরে দু’টি টেস্ট খেলবে টাইগাররা।