উস্কানিমূলক ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্টকারী ভিডিও ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশ দেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্দেশ পালন করতে ফেসবুক-ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ও বিটিআরসিকে বলা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
২১শে আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও জজ কোর্টের ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান। পরে আজ এ বিষয়ে রিট দায়ের করা হয়।
ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসিবিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
নোটিশে বলা হয়েছিল, ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উসকানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে যা সংবিধানের ২৭,৩১,৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭ এ এর ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ১৩, ১৬, ২৫ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।
এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বাংলাদেশেরও।