মেয়েটার বয়স ১৮ পার হয়েছে। তারপরেও ভক্তমনে মা স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় আজও সেই তন্বী। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। বয়স নিয়ে ছ্যুৎমার্গ নেই। নেই লুকোচুরিও। ৪০ অতিক্রান্ত। এর আগে ভউ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আর বিয়ে করবেন না। তবু ভক্ত মন মানে না বারণ। সেই স্বস্তিকাই এবার পেলেন প্রেম, মানে বিয়ের প্রস্তাব। চুপ করে থাকতেই পারতেন। কিন্তু থাকলেন আর কই? বিয়ের প্রস্তাব পেতেই দিলেন উত্তর।
‘ডালিম ফুলের মতো রাঙা’ ব্লাউজ আর দুধে আলতা শাড়িতে নিজেকে মুড়ে ছবি দিয়েছিলেন বেশ কয়েকটা। লিখেছিলেন তাঁর বাংলা ভাষার প্রতি প্রেমের কথাও। লিখেছিলেন কীভাবে ইংরেজি মাধ্যমে পড়া স্বস্তিকা ভালবাসলেন বাংলাকে, কীভাবে রচনায় রবিঠাকুরের কবিতা হয়েছিল তাঁর সহায়। এ হেন এক পোস্টের নিচেই এক ভক্ত তাঁর উদ্দেশে লেখেন,’আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।” উত্তরে স্বস্তিকা লেখেন, “আমি একা চাইলে কী করে হবে দাদা? আমাকেও তো চাইতে হবে, আমি একদম চাইনা।” প্রস্তাবটি সহজ ভাবেই নিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর সংযত উত্তরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্তরা।
বেশ ছোট বয়সেই বিয়ে হয় স্বস্তিকার। স্বামী ছিলেন প্রমিত সেন, সঙ্গীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে। বিয়ের কিছু সময়ের মধ্যে মা-ও হন। কোলে আসে অন্বেষা। তবে সেই বিয়ে স্থায়ী হয়নি। খাতায় কলমে বিচ্ছেদ না হলেও ইংরেজি পরিভাষায় তাঁরা ‘সেপারেটেড’। কম বয়সে বিয়ে, বিচ্ছেদ… জীবনের অধ্যায় পেরিয়ে এসে আজ কি আক্ষেপ হয় স্বস্তিকার? এক সাক্ষাৎকার কিছুদিন আগে তাঁকে এই প্রশ্ন করা হলে মুখ খুলেছিলেন নায়িকা। বলেছিলেন, ‘হয় না’। বলেছিলেন, “যদি কখনও মনেও আসে যে বিয়ে ছাড়াও তো থাকতে পারতাম। তখনই মনে হয় মেয়েটাকে তো পেতাম না। আমার গোটা অস্তিত্বটাই যে অবলুপ্ত হয়ে যেত। আমি পাগল হয়ে যেতাম।” মেয়ের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক তাঁর। বয়সের ফারাক বেশি নয়, তাই দুজনের রসায়নও বেশ। মেয়ে ও তাঁর প্রেমিককে নিয়ে ডেটে যান, সব মিলিয়ে ‘কুল মম’-এর উদাহরণ তিনি।