আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো আয়ারল্যান্ড। গতরাতে সিরিজ নির্ধারনী পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড। এর মাধ্যমে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় আইরিশরা।এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট খেলুড়ে কোন দেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো আয়ারল্যান্ড। গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিলো আইরিশরা। সব মিলিয়ে চতুর্থ দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় আয়ারল্যান্ডের।
এর আগে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ আয়ারল্যান্ড ও পরের দু’টিতে জয় পায় আফগানিস্তান। এতে শেষ ম্যাচটি রুপ নেয় অঘোষিত ফাইনালে। বেলফাস্টে সেই অঘোষিত ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। আয়ারল্যান্ডের পেসার মার্ক অ্যাডায়ারের বোলিং তোপে শুরুতেই ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানরা। ৩ উইকেটই নেন অ্যাডায়ার।
মিডল-অর্ডারের ব্যাটাররা সুবিধা করতে না পারলেও এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন উসমান ঘানি। টি-টোয়েন্টি মেজাজে না পারলেও বলের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলেছেন তিনি। ১৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান ছিলো- ৫ উইকেটে ৯৫।
এরপর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। পরবর্তীতে খেলা শুরু হতে দেরি হওয়ায়, ১৫ ওভারেই আফগানিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন ম্যাচ পরিচালনাকারীরা। তাতে বৃষ্টি আইনে ৭ ওভারে জয়ের জন্য ৫৬ রানের টার্গেট পায় আয়ারল্যান্ড।
আফগানিস্তান ইনিংসে ঘানি ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন। আয়ারল্যান্ডের অ্যাডায়ার ৩টি ও জশ লিটল ২টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৫৬ রানের প্রয়োজনে দেখেশুনে খেলতে শুরু করে আয়ারল্যান্ড। দলীয় ১৭ রানে প্রথম ও ৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। পল স্ট্রার্লিং ১৬ ও অধিনায়ক এন্ডি ব্যালবির্নি ৯ রান করে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের শিকার হন।
১৬ রানের ইনিংস খেলার পথে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ৩ হাজার রান পূর্ণ করেন স্ট্রার্লিং। তার আগে এই তালিকায় নাম তুলেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল, ভারতের রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি।
তিন নম্বরে নেমে ১৪ রানে থামেন লরকান টাকার। তবে ২ বল বাকী রেখেই আয়ারল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন হ্যারি টেক্টর ও জিওর্জি ডকরেল। টেক্টর ৯ ও ডকরেল ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। আফগানিস্তানের মুজিব ২টি ও রশিদ ১টি উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন অ্যাডায়ার। সিরিজ সেরা হন ডকরেল।