প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতে এবার নেদারল্যান্ডসকে হোয়াইটওয়াশ করার পাশাপাশি বিশ্বকাপ সুপার লিগ থেকে আরো ১০ পয়েন্ট পকেটে ভড়তে চায় পাকিস্তান। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে ভালো পারফর্ম করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয় পেতে মরিয়া নেদারল্যান্ডস।
নেদারল্যান্ডসের মাঠ রটারডামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোন দ্বিপাক্ষীক সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিলো পাকিস্তান-নেদারল্যান্ডস। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে নেয় পাকিস্তান।
প্রথম ওয়ানডে জিততে ঘাম ঝড়াতে হয় পাকিস্তানকে। ১৬ রানে ম্যাচটি জিতেছিলো তারা। প্রথমে ব্যাট করে ওপেনার ফখর জামানের ১০৯ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৪ রান করে পাকিস্তান। জবাবে তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের সাথে দারুন লড়াই করে নেদারল্যান্ডস। শেষদিকে খেই হারিয়ে ফেললে, ৮ উইকেটে ২৯৮ রানের বেশি করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস।
অবশ্য দ্বিতীয় ম্যাচটি হেসেখেলে জিতে নেয় পাকিস্তান। ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ পকেটে ভরে বাবর আজমের দল। প্রথমে ব্যাট করে ১৮৬ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জবাবে অধিনায়ক বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আঘা সালমানের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৯৮ বল বাকী রেখে সহজ জয়ের স্বাদ নেয় পাকিস্তান।
তৃতীয় ও শেষ ম্যাচও জিতে নেদারল্যান্ডসকে হোয়াইটওয়াশে করে সুপার লিগ থেকে পূর্ণ পয়েন্ট আদায় করার লক্ষ্য পাকিস্তানের। মিডল-অর্ডার ব্যাটার সালমান বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিলো সিরিজ জয়। এবার আমাদের লক্ষ্য শেষ ম্যাচও জিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করে বিশ^কাপ সুপার লিগ থেকে ১০ পয়েন্ট নেয়া।’
বিশ^কাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে নেদারল্যান্ডস। তাই পয়েন্ট নিয়ে মাথাব্যাথা নেই তাদের। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের জন্য মরিয়া ডাচরা। দলের ব্যাটার টম কুপার বলেন, ‘আমরা শেষ ম্যাচটি জিততে চাই। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের জন্য মুখিয়ে আছি।’
এখন পর্যন্ত বিশ^কাপ সুপার লিগে ১৭টি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। ১১টি জয় ও ৬টি হারে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীস্থানে পাকিস্তান। ১৩ দলের মধ্যে টেবিলের তলানিতে নেদারল্যান্ডস। ১৮ ম্যাচে ২ জয়, ১৫ হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্তের কারনে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শেষ দল ডাচরা।
টেবিলের শীর্ষ দু’টিস্থানে আছে ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশ। ১৮টি করে ম্যাচ খেলে ইংলিশদের পয়েন্ট ১২৫ ও বাংলাদেশের পয়েন্ট ১২০।