দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার লড়াই ফিফা বিশ্বকাপ। আর মাত্র ১০৩ দিন পরই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বসবে বিশ্বকাপের ২২তম আসর। বিশ্বকাপের দিনক্ষণ যত এগিয়ে আসছে ফুটবল প্রেমিদের উন্মাদনার ততই বাড়ছে।
আসন্ন বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার মানা হচ্ছে ব্রাজিলকে। অনেকেই বলছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এবার তাদের হেক্সা মিশনে পূরণ করবেই। ২০ বছরের মধ্যে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার সন্ধানে থাকা ব্রাজিলই এরই মধ্যে চোখ ধাঁধানো নকশার জার্সি উন্মুক্ত করেছে।
যা সাধারণের জন্য মুক্তি দেয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিক্রি শেষ হয়ে যায়।
ব্রাজিলের এবারের জার্সির রঙে আনা হয়েছে ত্রিমাত্রিক ছোয়া। পাশাপাশি ডিজাইনেও এসেছে বেশ পরিবর্তন। হোম জার্সিতে রয়েছে সবুজ রঙের ছোট কলার এবং নীল স্ট্রাইপ। তবে জার্সিতে লুকিয়ে আছে একটি রহস্য, যা শুধু কাছ থেকে দেখলেই চোখে পড়বে। জার্সির নকশা করা হয়েছে আমাজনের বিখ্যাত প্রাণী জাগুয়ারের গায়ের পশমের প্যাটার্নে।
জাগুয়ার বাঘ ও সিংহের পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিড়ালজাতীয় প্রাণী হলেও দক্ষিণ আমেরিকায় এটিই বৃহত্তম বিড়ালজাতীয় প্রাণী। কাতারে নিজেদের মহাদেশের এই গর্বকে সঙ্গী করেই মাঠে নামবে নেইমার-ভিনিসিয়াসরা।
অ্যাওয়ে ম্যাচের নীল রঙের জার্সিতেও রয়েছে আধুনিকতার ছোয়া। ২০০২ সালের বিশ্বকাপ জয়ী জার্সির আদলে তৈরি করা হয়েছে সেলেসাওদের এবারের কাতার মিশনের জার্সিটি।
জার্সির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নাইকি এই জার্সিকে অবহিত করছে প্রাণবন্ত, প্রখরতর বলে যা এই মহাদেশের ২০০ মিলিয়ন মানুষের অদম্য ভাবমুর্তির প্রতিচ্ছবি।
বিশ্বকাপের জার্সি দেশটির ফুটবলারদের মধ্যেও সাড়া জাগিয়েছে। জার্সি দেখে মুগ্ধ নেইমার-রিচার্লিসনরা নিজেদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। টটেনহ্যামে যোগ দেওয়া ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রিচার্লিসন গ্লোবোকে বলেন, ‘সুন্দর, দুর্দান্ত, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর! পৃথিবীতে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে চাপানোর চেয়ে দুর্দান্ত কিছু নেই। এটা সেই জিনিস যা প্রতিপক্ষকে ভয় ধরিয়ে দেয় এবং এখন মনে হচ্ছে যে, বিশ্বকাপ সত্যিই দুয়ারে কড়া নাড়ছে। এটা পাকস্থলীতে প্রজাপতির নাচন যেন!
ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জার্সি আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভক্তরা কিনতে পারবেন।