আওয়ামী লীগের লুটপাট বা ভুল সিদ্ধান্তের জন্য নয় দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য বৈশ্বিক পরিস্থিতি দায়ী বলে মনে করেন দলটির শীর্ষ নেতারা। শিগগিরই এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে কিনা তাও তাদের জানা নেই। তবে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রত্যেক নাগরিকের সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতারা।
আয় আর ব্যয়ের ব্যবধানে পড়ন্ত অর্থনীতি। সংকট মোকাবেলায় তড়িঘড়ি ব্যয় সংকোচনসহ নানা পদক্ষেপ সরকারের। অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে ক্ষমতাসীনরা বলছেন, এই সংকট বাংলাদেশের একার না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, সমস্যাটা কিন্তু অনেক জটিল। এটা কিন্তু সিম্পল কোন সল্যুশন না যে একজনকে বাদ দিয়ে দিলাম আরেকজনকে আনলাম সে সব সমাধান করে দেবে। আর এই সমস্যা শুধু আমাদের না গোটা পৃথিবীর জন্য আজকে এই সমস্য।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, এই সংকটটা দেশের সকলকে মিলেই আমাদের উত্তোরণ করার পথ খুঁজতে হবে। পথ বাতলে দিয়েছেন পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যে পদক্ষেপের কারণে ইতোমধ্যে ইতিবাচক পরিস্থিতি আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তাদের মতে, ভঙ্গুর অর্থনীতি শিগগিরই পুনরুদ্ধার না হলেও সরকারের নেয়া পদক্ষেপ মানুষের কষ্ট কমাবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, সারা পৃথিবীতে যে অর্থনৈতিক মন্দা আমার মনে হয় না যে কোন ফরচুন টেলারও সক্ষম হবে না কোন কিছু বলার জন্য।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আগামী একটা মাস যদি আমরা এভাবে চলতে পারি আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের অর্থনীতি আবার আগের মতোই স্বাভাবিক অবস্থায় উর্ধ্বমুখী থাকবে।
সেই সঙ্গে প্রত্যেক নাগরিককেই সংকট মোকাবেলায় নিজ অবস্থানে থেকে সহযোগিতার আহ্বানও তাদের।