শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

দুর্নীতির দায়ে তিউনিসিয়ায় ৫৭ বিচারক বরখাস্ত

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২, ২০২২

দুর্নীতি ও সন্ত্রাসীদের রক্ষার অভিযোগে তিউনিসিয়ার ৫৭ জন বিচারককে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ। স্থানীয় সময় বুধবার (পহেলা জুন) তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এক টেলিভিশন বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ বলেন, জুডিশিয়ারি বিভাগকে শুদ্ধ করার জন্য বার বার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, শুধু তাই নয় সতর্কও করা হয়েছে। তার এমন ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর সরকারি গেজেটের মাধ্যমে বরখাস্তের ঘোষণা দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করা হয়।

বরখাস্তকৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সাবেক প্রধান ইউসুফ বাউজাকার। এই কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট কায়েস গত ফেব্র“য়ারিতে ভেঙে দিয়েছিলেন। তিউনিসিয়ায় ২০১১ সালের বিপ্লবের পর থেকে কাউন্সিলটি বিচারিক স্বাধীনতার গ্যারান্টর হিসাবে কাজ করছিল এবং এই পদক্ষেপের ফলে সাইদ বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

গত জুলাইয়ে করোনা মোকাবিলায় সরকারের অব্যবস্থাপনার জেরে সহিংস বিক্ষোভের পর তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাঈদ দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। তবে দেশটির বিরোধীরা প্রেসিডেন্ট কায়েসের নেওয়া পদক্ষেপকে ‘অভ্যুত্থান’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তিউনিসিয়াকে সংকট থেকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করে তিনি তখন থেকেই ডিক্রি জারি করে দেশ শাসন করছেন। তার এমন পদক্ষেপের কারণে অর্থনৈতিক স্থবিরতা, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং দুর্নীতির কারণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের কারণে জনগণের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণও প্রেসিডেন্টের হাতে বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও তিনি বলেছেন যে এই মাসে একটি নতুন সংবিধান প্রবর্তন করা হবে যার মাধ্যমে জুলাই মাসে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিউনিসিয়ার প্রায় সব রাজনৈতিক দল শক্তিশালী ইউজিটিটি শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে তার এ পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউজিটিটি এই সপ্তাহে বলেছে যে সরকারি খাতের কর্মীরা ১৬ জুন ধর্মঘটে যাবে। যা এখন পর্যন্ত সাইদের ক্ষমতা দখলের জন্য সবচেয়ে বড় সরাসরি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১০ বছর আগে তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন দাবিতে বিপ্লব সংঘটিত হয়। তিউনিসিয়ার সেই বিপ্লব আরব বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে, যা আরব বসন্ত নামেও পরিচিত। বিপ্লবের এক দশক পরও তিউনিসিয়ার অর্থনৈতিক সংকট কাটেনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ