দাম না বাড়িয়ে আর কোনো উপায় ছিল না জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি এমন ছিল- দাম না বাড়ালে বিপিসির জ্বালানি তেল আমদানির টাকা থাকতো না।
রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘গত কয়েক মাসে বিপিসি আট হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে। এতে জ্বালানি তেলের মজুতও বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। বিপিসি বার বার বলছিল, এভাবে চলতে থাকলে তেল আমদানির টাকা থাকবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যতক্ষণ পারা যায়, অপেক্ষা করা হয়েছে। এখন দাম না বাড়িয়ে আর কোনো উপায় ছিল না। বিশ্ববাজারে ডিজেলের দাম কমে ১৩৯ ডলারে নেমে এসেছে। এতে প্রতি লিটার ডিজেলে বিপিসির খরচ পড়ছে ১২২ টাকা। এ অবস্থায় দাম সমন্বয় করে লিটার ১১৪ টাকা করা হলো। এখন ৩৪ টাকা না বাড়িয়ে আরও অপেক্ষা করলে বিপিসির তেল আমদানির টাকা থাকতো না। দাম কমার প্রবণতা আছে বিশ্ববাজারে। সবাই মিলে একটু সাশ্রয়ী হলে দ্রুত পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যাবে।’
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে সব জিনিসের দামে প্রভাব পড়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত মাসে পরিবহনমালিকদের সঙ্গে, এরপর বিআরটিএর সঙ্গেও পরিবহন ভাড়ার ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। লঞ্চমালিকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ডিজেলে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানো হলে যাত্রীপ্রতি খুব একটা খরচ বাড়ে না।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘দুই মাস ধরে হোমওয়ার্ক করেছি। শহরের মধ্যে মানুষের বাসের খরচ হিসাব করে দেখা হয়েছে। পরিবহনে ব্যবহৃত হয় এমন জিনিসপত্রের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা প্রভাব পড়বে। দাম কিছুটা বাড়তে পারে, তবে তা অতিসামান্য।’