পূর্ণিমার বিয়ে নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) তার বিয়ের খবর প্রকাশ হতেই ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। সবাই বলতে থাকেন এটা তার দ্বিতীয় বিয়ে। কিন্তু না, এটা পূর্ণিমার তৃতীয় বিয়ে। বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে গত ২৭ মে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। এই খবর নায়িকা জানিয়েছেন গেল বৃহস্পতিবার রাতে, দুই মাস পর। নতুন সংসার শুরুর পরই আলোচনায় আছে নায়িকার বিচ্ছেদ ইস্যু।
তৃতীয় বিয়ে নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন পূর্ণিমা, একটি দৈনিককে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর (ফাহাদের) ধরে সম্পর্ক নেই। যেহেতু আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়ের বাবা সে। মেয়ে স্কুলে পড়ে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ওভাবে কোনও কিছু জানাতে চাইনি। যাতে মেয়ের ওপর কোনও অ্যাফেক্ট না হয়। কিন্তু (নতুন সম্পর্কটি) আমার মেয়েও ভালোভাবে অ্যাকসেপ্ট করে নিয়েছে।’
বিচ্ছেদের কারণ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলছেন, ‘ফাহাদের সঙ্গে আগে থেকেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে ঝামেলা ছিল, ঝামেলা না হলে তো কেউ সংসার ভাঙতে চায় না। সে কারণে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম।’
জানা যাচ্ছে, এটি তাঁর তৃতীয় বিয়ে। ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে প্রথম বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সংসারের ইতি টানেন ২০০৭ সালের ১৫ মে। পরে ওই বছরের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেন পূর্ণিমা।
২৭ মের বিয়ে প্রসঙ্গে পূর্ণিমা জানিয়েছেন, ‘তিন বছরের বন্ধুত্ব আমাদের। দুই পরিবার আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়। পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।’
জানা গেছে, পূর্ণিমার বর্তমান স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন পেশায় দেশের বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লেখাপড়া করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন। বিয়ের পর তাঁরা রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় একত্রে বসবাস করছেন।