বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছেন দেশের সবোর্চ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ লিখিত রায়ে বলেছেন, পলাতক আসামির মামলা শুনে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আইন বহির্ভূতভাবে জোবায়দাকে দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত সুবিধা।
তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের দুর্নীতি মামলা চলবে বলে গত ১৩ এপ্রিল রায় দেন আপিল বিভাগ। কিন্তু সেই রায়ের কোন ব্যাখ্যা সেদিন দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
বুধবার (১ জুন) জোবায়দার দুর্নীতি মামলার ১৬ পাতার রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। ২০০৮ সালে আদালতে আত্মসমর্পণ না করে কিভাবে হাইকোর্ট এ মামলা শুনলেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন আপলি বিভাগ। বলনে, এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে মামলাটি শুনেছিলেন হাইকোর্ট।
জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বলেন, শত বছরের নজির ভেঙে জোবায়দার মামলা গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। যা অবৈধ এবং সংবিধানের লংঘন।
সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা দিয়ে আপিল বিভাগ বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সবাইকে সমান বলা হলেও জোবায়দা রহমানকে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া হয়েছিল।
এছাড়া হাইকোর্টের দেয়া আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দার আত্মসমর্পণের আদেশ বাতিল করেন আপিল বিভাগ। পলাতক আসামি দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে কোন আবেদন করতে পারবে না উল্লেখ করে আপিল বিভাগ বলেন, ২০০৮ সাল থেকেই পলাতক হিসেবে গণ্য হবেন তারকে পত্নী।