১৫ বছর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার রুল শুনানি আবারো পিছিয়ে ৫ই জুন ধার্য করেছে হাইকোর্ট। তারেক-জোবায়দা পলাতক থাকা অবস্থায় আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে কি না, সে বিষয়েও ৫ই জুন শুনবে হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করে। এ সময় দুদকের আইনজীবী বলেন,পলাতক আসামীর আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ নেই।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, এ বিষয়েও আগামী রবিবার শুনানি হবে। সম্পদের তথ্য গোপন অভিযোগে ২০০৭ সালে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সে বছরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা। পরে বিচারপতি শাহ আবু নাইম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেয়া হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও হিসাব বিবরণীতে সম্পদ গোপন করার অভিযোগে মামলা দায়ের ও এর প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমান ২০০৭ সালে পৃথক রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরই নভেম্বরে হাইকোর্ট রুল দেন। এই রুলের ওপর শুনানির জন্য আগামীকাল রবিবার (২৯ মে) নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।
সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সে বছরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা। পরে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেয় আদালত।
সম্প্রতি জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর এই মামলার রুল শুনানি উদ্যোগ নেয় দুদক। এদিকে জিয়া পরিবারকে হেনস্থা করতেই মামলার শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারেক রহমানের আইনজীবী।