সেই ২০০৫ সালের পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা হয়নি বাংলাদেশের। ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটানোর সম্ভাবনাও জাগিয়েছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
কিন্তু গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর লাল কার্ড আর শেষদিকে পেনাল্টি গোলে সর্বনাশ হলো জামাল ভূঁইয়াদের।
বুধবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে উঠতে হলে এই ম্যাচ জেতার কোনো বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। নেপালের ড্র করলেই চলতো। বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ না হলেও নেপাল ঠিকই প্রথমবারের মতো সাফের ফাইনালে উঠে গেছে।
মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে সুমন রেজার গোলে প্রথমার্ধ এগিয়ে যায় জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ভাগে দলের মূল গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দলকে বাঁচাতে রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এরপর ৮৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে ড্র তুলে নেয় নেপাল।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে চারটি পরিবর্তন এনে সেরা একাদশ সাজান ভারপ্রাপ্ত কোচ অস্কার ব্রুসন। কার্ডের খাড়ায় ছিটকে গেছেন ইয়াসিন আরফাত। এছাড়া রহমত মিয়া, সোহেল রানা, মতিন মিয়ার বদলে টুটুল হোসেন বাদশা, বিশ্বনাথ ঘোষ, রাকিব হোসেন, সুমন রেজাকে একাদশে রাখা হয়।
শুরুর দিকে নেপালের দখলে বলের নিয়ন্ত্রণ থাকলেও দ্রুতই গুছিয়ে ওঠে বাংলাদেশ। গোলও পেয়ে যায় শুরুতেই। অষ্টম মিনিটে রাকিব হোসেন বাঁদিক থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ঢুকে পড়লে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার গৌতম শ্রেষ্ঠ তাকে পেছন থেকে পা বাড়িয়ে ফেলে দিলে রেফারি ফ্রি-কিকের বাঁশি বাজান। সীমানার কাছ থেকে ফ্রি-কিক নেন জামাল ভূঁইয়া। বাংলাদেশ অধিনায়কের কিকে বল নেপালের এক ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে পোস্টের সামনে উড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছয় গজ বক্সে থাকা সুমন রেজা দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন।