শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

চা বাগানের মালিকরা মধ্যযুগীয় মনোভাব পোষণ করেন : বাংলাদেশ ন্যাপ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২২

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, ঔপনিবেশিক যুগ থেকে চা শ্রমিকরা বংশ পরম্পরায় এখানে কাজ করেন। যারা চা শিল্পের মালিক, তারা এখনও সেই মধ্যযুগীয় মনোভাব পোষণ করেন। ১২০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা মজুরি, এটি একরকম স্লেভারি (দাসত্ব)। অথচ, এই চা শিল্পে আমরা পৃথিবীতে দশম স্থানে আছি।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ন্যাপ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। তারা বলেন, ‘একজন চা শ্রমিক দিনে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি পান। এখন এটা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার কথা বলা হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মানবিক নয়।’

নেতৃদ্বয় অবিলম্বে চার শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘চা বাগানের শ্রমিকদের ছুটি বৈষম্য দূর করা, রেশনের মান ও পরিমাণ বাড়ানো, প্রতিটি বাগানে মানসম্মত চিকিৎসা কেন্দ্র, পর্যাপ্ত খাবার পানি ও শৌচাগার স্থাপন করতে হবে।’

ন্যাপের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বলেন, ‘চা শ্রমিকের সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত করতে প্রত্যেক বাগানে প্রাথমিক স্কুল ও প্রত্যেক ভ্যালিতে উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। এ ছাড়া চা শ্রমিকের শিক্ষিত সব সন্তানের চাকরির নিশ্চয়তা এবং সব জাতি-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটনোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।’

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজকে চা শ্রমিকদের জিম্মি করে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। চায়ের দেশ বাংলাদেশ। অথচ সেই দেশের চা শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। চা শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যেকোনো মূল্যে সরকারের উচিত এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ