খালেদা জিয়ার মুক্ত হলে তিন মাসের মধ্যে সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতার অধিকার পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে জামিন দিলে সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।
অনুষ্ঠানে র্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকার র্যাব-পুলিশ ও আর্মিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে বাহিনীগুলোর সর্বনাশ করেছে।
বিদ্যুত ও জ্বালানি সঙ্কটের বিষয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রী এমপিদের বাড়িতে কোনো লোডশেডিং নেই, যত দুর্ভোগ সব সাধারণ মানুষের।
তিনি বলেন, বিরোধী দলকে প্রধানমন্ত্রী বললেন চা খেয়ে যান। তার পরই ভোলায় পুলিশের গুলিতে দুইজন মারা গেলেন। তার মানে উনার (প্রধানমন্ত্রীর) হাতে ক্ষমতা নাই। ক্ষমতা অন্যদের হাতে। চাবিকাঠি অন্য জায়গায়। পুলিশের যেখানে লাঠিচার্জ করার কথা সেখানে গুলি করছে। তার কারণ হলো কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। একটা জায়গা গুলি করতে হলে ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত অনুমিত লাগত। এখন তা নেই। আজকে সেই ক্ষমতা এসপির হাতে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে আসতে এত ভয় পাচ্ছেন কেনো? দিয়ে দেখেন নাহ? চলে গেলে তো ভালোই। জিতে গেলে চরিত্রের পরিবর্তন করলেন। আর কত দিন, অনেক দিন করেছেন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না বলেন, আজকে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই, লাড়াই করতে হবে। যতগুলো দল পারেন একত্রিত হয়ে এক মঞ্চে না হোক অন্তত যুগপৎ অভিন্ন আন্দোলন করতে হবে।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে আন্দোলনটা করা যায় তার জন্য গনতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ হবে বলেও জানান মাহামুদুর রহমান মান্না।
সাত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে জনতার অধিকার পার্টির আত্মপ্রকাশ হয়। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন দলটির চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, জনতার অধিকার পার্টি জাতির সঙ্গে বেইমানী করবে না। দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবে।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ-
ধর্মীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার চেতনা ও মূল্যবোধ সংরক্ষণ। যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থান ব্যবস্থাকরণ। স্বল্পমূল্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণ। জেলায় জেলায় শিল্প-কারখানা স্থাপন ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিকরণ। সার্বজনীন মানবতাবোধে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধকরণ। জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় পতাকার সম্মান সর্বঊর্ধ্বে স্থাপন।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোশাররফ হোসেনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন গণশক্তি আন্দোলনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ মো. তাহের, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।