ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিজ ছাত্র সংগঠনকে সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করেছে ক্ষমতাসীনরা। মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ডাকসুর সাবেক নেতারা।
গত ২৪ ও ২৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকারের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিও জানান, ডাকসুর সাবেক নেতারা।
তারা বলেন, ছাত্রদলের ওপর হামলায় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের নাম, ছবি প্রকাশিত হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
লিখিত বক্তব্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ও ২৬ মে ছাত্রদলের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো হামলার শিকার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৪০০ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশেই ছাত্রলীগ এই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সরকারি দলের সন্ত্রাসী ছাত্রসংগঠন চর দখলের মতো দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে রেখেছে। ভিন্নমত পোষণ বা দলীয় কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় নির্মম শারীরিক নির্যাতন, হল থেকে বের করে দেওয়া এমনকি পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দলদাস প্রশাসন বরাবরই নির্লিপ্ত থেকেছে।
ডাকসুর সাবেক নেতারা বলেন, দেশের সব শিক্ষাঙ্গন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনকে বাঁচানো শুধু ছাত্রসংগঠন বা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, পেশাজীবীসহ দেশের সব শ্রেণি–পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আবদুর রব, আমানউল্লাহ আমান, নুরুল হক, সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন এবং সাবেক এজিএস নাজিমউদ্দিন আলম উপস্থিত ছিলেন।