কোভিড বিধিনিষেধের কারণে সাংহাই মাস্টার্সসহ এ বছর চায়নায় অনুষ্ঠিতব্য আরো তিনটি এটিপি টুর্ণামেন্ট বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। এটিপি ট্যুর সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফেব্রুয়ারিতে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে চায়না শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজন করেছে। কিন্তু করোনা সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় এ বছর চায়নায় অনুষ্ঠিতব্য অন্যান্য প্রায় সব ক্রীড়া ইভেন্টই বাতিল বা স্থগিত করতে বাধ্য হয় আয়োজক কমিটি।
এটিপি চেয়ারম্যান আন্দ্রে গুয়াডেনজি গত মাসেই ২০২২ সালে চায়নায় অনুষ্ঠিতব্য টুর্ণামেন্টগুলো নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আর সেই শঙ্কাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। এ সম্পর্কে বিশ্ব পুরুষ টেনিসের সর্বোচ্চ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘চায়নায় এনিয়ে তৃতীয় বছরের মত এটিপি টুর্ণামেন্ট বাতিল হয়ে গেল। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের টুর্ণামেন্টগুলো কোনভাবেই আয়োজন করা সম্ভব নয়। করোনা মহামারীর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে এই টুর্ণামেন্টগুলো আয়োজিত হয়েছিল।’
গত ২০ জুলাই পর্যন্ত চায়নায় সব মিলিয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বমোট দুই লাখ ২৮ হাজার ১৮০ জন কোভিড রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যদিও বৈশ্বিক মান বিচারে এই সংখ্যা খুব একটা বেশী নয়। কিন্তু চাইনিজ সরকার প্রথম থেকেই কোভিড নীতিতে জিরো টলারেন্স প্রয়োগ করে আসছে। যদিও ভাইরাসের সাথে মানিয়ে নিয়ে নতুনভাবে জীবনকে এগিয়ে নেবার প্রয়াসে অনেক দেশই কোভিড নীতি অনেকাটাই শীথিল করে দিয়েছে।
সম্প্রতি আয়োজিত ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনে কোন ধরনের স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ ছিলনা। পরিস্থিতি বিবেচনায় চায়নায় গিয়ে খেলোয়াড়দের হয়তবা আইসোলেশন পিরিয়ডে থাকতে হতে পারে বলে শঙ্কা ছিল।
২০২২ সালে চায়নায় ডব্লিউটিএ’র কোন সূচী ছিলনা।
আগামী ৯-১৬ অক্টোবর সাংহাই মাস্টার্স অনুষ্ঠিত হবার কথ ছিল। এছাড়াও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে চেংডু ওপেন ও ঝুয়াই চ্যাম্পিয়নশীপ শুরু হবার সূচী ছিল। বেইজিংয়ে ৩-৯ অক্টোবর পর্যন্ত চায়না ওপেনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। গুয়ানডেজি বলেছেন, ‘এক বছরে এই ধরনের টুর্ণামেন্ট বাতিল হয়ে যাবার বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। এর ফলে টুর্ণামেন্টের পাশাপাশি খেলোয়াড়, সমর্থক সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারপরও এবছর বেশ কিছু নতুন শহর এটিপি টুর্ণামেন্ট আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করার বিষয়টি সত্যিই ইতিবাচক।’