দু’সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনা আক্রান্তের হার অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সংক্রমণের হার মাত্র দশমিক ৬ থেকে প্রায় ৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এই বৃদ্ধিকে চতুর্থ ঢেউয়ের শুরু হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে সতর্ক করেছে সরকারও। দেশব্যাপী করোনা অতিমারির সংক্রমণ হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। জেলা শহরের চেয়ে মহানগরে সংক্রমণ বেশি। ঢাকায় সংক্রমণ বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব বলছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুর দিকে বাড়তে শুরু করে করোনা শনাক্ত রোগির সংখ্যা। ৬ই জুন সংক্রমণের হার ছিলো ০.৯৯ শতাংশ যা ১৬ তারিখে এসে দাঁড়ায় ৫.৭৬ শতাংশে। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের কোভিড নেগেটিভ ও টিকা সনদ বাধ্যতামুলক করা, জনসমাগম বর্জন, মাস্ক পরা বাধ্যতামুলক করা এবং নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি আবার চলুর পরামর্শ দিয়েছে।
করোনা শনাক্তের হার নিচের দিকে থাকায় হাসপাতালগুলো তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক করেছিলো। ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩ হাজার ৯৪টি সাধারণ শয্যার মধ্যে বর্তমানে ৩ হাজার ৮০টি খালি আছে। আর ৩৫১টি আইসিউ’র মধ্যে ৩৪৩টি খালি। ৪১৩টি হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটের এইচডিইউ মধ্যে ৪১০টি খালি আছে। পরিস্থিতি উর্দ্ধমুখী হওয়ায় আবার হাসপাতালগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সব মিলিয়ে গত ১৬দিনে ১৪৮৭ জন শনাক্ত হয়েছে। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।