তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ।
এতে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা। এ নিয়ে সর্বশেষ ৯ ওয়ানডেতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালো বাংলাদেশ।
৪১ ওভারে ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। ক্যারিবীয় স্পিনার আকিল হোসেনের এক ঘূর্ণি ডেলিভারি লিটনের পায়ে লাগলে আবেদন হয়।
আম্পায়ার শুরুতে আউট দেননি। অনেকটা সময় নেন। লিটন ভেবেছিলেন বেঁচে গেছেন। এমন সময়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন লিটন।
রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্ট্যাম্প একটু ছুঁয়েছে, তবে বেশিরভাগই বাইরের দিকে। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে।
লিটন ফিরলেও তামিম ভয়ংকর চেহারায় হাজির হয়েছিলেন ব্যাটিংয়ে। সপ্তম ওভারে জেইডেন সিলসকে একটি চার আর ছক্কা হাঁকানো টাইগার দলপতিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল ক্যারিবীয়রা।
স্বাগতিকদের সেই দুশ্চিন্তা কেটেছে পরের ওভারেই। নাজমুল হোসেন শান্ত গালিতে বল ঠেলে দিয়ে দ্রুত এক রান নিতে চাইলে তামিমও দৌড় দেন। স্ট্রাইকিং এন্ডে সরাসরি স্টাম্প ভেঙে দেন ফিলিপ। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় তামিমের ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসের সমাপ্তি সেখানেই।
এরপর আরেকটি জুটি বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর শান্ত মিলে দলকে সহজ জয়ের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শান্ত খেলছিলেন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। কিন্তু ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ ভুল শট খেলে বসার অভ্যাস থেকে বের হতে পারেননি শান্ত।
৭১ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তিনি। গুদাকেশ মোদিকে অভিষেকে প্রথম উইকেটের স্বাদ দিয়ে মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ দেন ডাউন দ্য উইকেটে যাওয়া শান্ত। ৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে গড়া তার ইনিংসটি ছিল ৩৭ রানের।
আফিফ হোসেনও শুরুটা করেছিলেন ভালো। কিন্তু ৯ রান করে বাজে শট খেলে নিকোলাস পুরানকে উইকেট উপহার দেন তিনি। তবে বাকি সময়টায় দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি মাহমুদউল্লাহ আর নুরুল হাসান সোহান।
৫৩ বলে ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। মাহমুদউল্লাহ ৬৯ বলে ৪১ আর সোহান ২৭ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে শরিফুল-মিরাজদের তোপে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।