ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪২তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন মুশফিকুর রহীম। পবিত্র হজ পালনের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিলেন না মুশফিক। মুশফিকের আগে ম্যাচে অর্ধশত রানের দেখা পেয়েছেন তামিম ইকবাল, লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয়। এ নিয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ টপ অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটারই হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন।
এর আগে ২০১৪ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন কীর্তি দেখিয়েছিল টাইগাররা। সেই রেকর্ডেও ছিলেন মুশফিক আর বিজয়। সঙ্গে ছিলেন মুমিনুল হক আর ইমরুল কায়েস। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের চার ব্যাটারের এক ইনিংসে ফিফটি পাওয়ার ঘটনা এ নিয়ে চতুর্থবার।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে মাঠে গড়ায় ম্যাচটি। খেলাটি সরাসরি দেখা যাচ্ছে টি-স্পোর্টসে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও লিটন শতরানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১৯ রানে সিকান্দার রাজার বলে ইনোসেন্ট কাইয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। তার আগে অবশ্য ৮৮ বলে ৯ চারের সাহায্যে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান ও প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামার আগে ৮ হাজার রানের রেকর্ড করতে তামিমের প্রয়োজন ছিল ৫৭ রানের।
তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-বিজয়কে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৭১ রানে পায়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন লিটন। তার আগে লিটন ৮৯ বলে ৯ চার ও এক ছয়ে ৮১ রান করেন। এরপর মুশফিক নেমে বিজয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন। তারা দ্বিতীয় উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ২৬৭ রানে ৬২ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে খেলে অভিষিক্ত ভিক্টর নিয়ুচির শিকারে পরিণত হন। প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে সাত বছর পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি ছিল বিজয়ের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্যারিয়ারের ৪২তম অর্ধশত তুলে নেন মুশফিকুর রহীম। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৪৯ বলে ৫ চারে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। পবিত্র হজ পালনের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দলে ছিলেন না মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সিকান্দার রাজ ও ভিক্টর নিয়ুচি একটি করে উইকেট লাভ করেন।