মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

ইভ্যালিসহ ১০ ই-কমার্সে কেনাকাটায় নিষেধাজ্ঞা দিলো আরও দুই ব্যাংক

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২৪, ২০২১
ইভ্যালিসহ ১০ ই-কমার্সে কেনাকাটায় নিষেধাজ্ঞা দিলো আরও দুই ব্যাংক

ইভ্যালি ও আলেশা মার্টসহ ১০টি ই-কমার্সের সঙ্গে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের লেনদেন বন্ধ করেছে ব্যাংক এশিয়া ও ঢাকা ব্যাংক। এর আগে ব্র্যাক ব্যাংকও এই ১০ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ করে।

ব্যাংক এশিয়া ও ঢাকা ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপিং, আলাদিনের প্রদীপ, বুম বুম, কিউকম, আদিয়ান মার্ট ও নিডস ডট কম বিডি।

বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের এক এসএমএস বার্তায় ঢাকা ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক কার্ড গ্রাহকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কিছুসংখ্যক অনলাইন মার্চেন্টে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের কার্ড লেনদেন বন্ধ থাকবে।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ জুন) ইভ্যালি ও আলেশা মার্টসহ ১০টি ই-কমার্স সাইট থেকে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ব্র্যাক ব্যাংক।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সম্পদের চেয়ে ই-ভ্যালি’র দেনার পরিমাণ বেশি। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে ইভ্যালি’র দেনার পরিমাণ ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বিপরীতে কোম্পানিটির চলতি সম্পদ মাত্র ৬৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সম্পদের চেয়ে ৬ গুণের বেশি দেনা কোম্পানিটির পরিশোধ করার সক্ষমতা নেই বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সম্প্রতি ইভ্যালি.কম.বিডি-এর ওপর পরিচালিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিদর্শন রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৭ জুন (বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৬ জন কর্মকর্তার একটি দল পাঁচদিন ব্যাপী এই পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত পণ্যমূল্য বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম ২১৩.৯৪ কোটি টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ করেনি ইভ্যালি। অন্যদিকে, ইভ্যালি যেসব কোম্পানির কাছ থেকে পণ্য কিনে ওই সব মার্চেন্টদের কাছে কোম্পানিটির বকেয়া ১৮৯.৮৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সব মিলিয়ে ইভ্যালির চলতি সম্পদ দিয়ে গ্রাহক ও পাওনাদারদের বকেয়া অর্থের মাত্র ১৬ দশমিক ১৪ শতাংশ পরিশোধ করা সম্ভব। বাকি প্রায় ৮৪ শতাংশ বা ৩৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার সমপরিমাণ দায় অপরিশোধিত থেকে যাবে। ইভ্যালির চলতি সম্পদের স্থিতি দিয়ে শুধু গ্রাহক দায়ের এক-তৃতীয়াংশেরও কম পরিশোধ করা সম্ভব হবে।

ইভ্যালি’র সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে খুদে বার্তা পাঠালে তিনি এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ