রোজ এবং জ্যাকের প্রেমের গল্প ফের ফিরতে চলেছে বড়পর্দায়। জেমস ক্যামেরনের ফিল্ম ‘টাইটানিক’-এর রিমাস্টার সংস্করণ আগামী বছরের ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে মুক্তি পাবে।
রিমাস্টার সংস্করণের অর্থ হল, ফিল্ম শব্দ এবং ছবির গুণমান আগের তুলনায় অনেক ভাল ও উন্নত। যারা এই ছবিটি আগে প্রেক্ষাগৃহে দেখেননি, তাদের জন্য এই বার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
ফিল্মটির রিমাস্টার করা সংস্করণটি প্রেক্ষাগৃহে থ্রীডি ৪কে এইচডিআর এবং হাই-ফ্রেম-রেটে দেখানো হবে, যা ডিজনি ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩-এ বিশ্বব্যাপী মুক্তি দিতে চলেছে। প্যারামাউন্ট পিকচার্স-এর ডোমেস্টিক রাইটস আছে।
১৯৯৭ সালে পরিচালক জেমস ক্যামেরন টাইটানিক চলচ্চিত্রটি তৈরি করেন। টাইটানিক চলচ্চিত্রটির ঝুলিতে ১১টি অস্কার পুরস্কারের রেকর্ড রয়েছে। সেই সময় টাইটানিক বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে।
২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস ক্যামেরনের আরেকটি ছবি ‘অ্যাভাটার’ টাইটানিকের রেকর্ড ভেঙে দেয়। তবে আজও এই ছবিটি বিশ্বের সর্বোচ্চ আয় করা চলচ্চিত্রের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে।
টাইটানিক তৈরি করতে সে সময় প্রায় ১২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। ২০১২ সালে, টাইটানিক ছবিটি 3D ইফেক্টের সঙ্গে পুনরায় মুক্তি পায়।
ছবিটির সমাপ্তি বেদনাদায়ক! তাই টাইটানিকের গল্প সবসময়ই খবরে ছিল। ছবিটির সমাপ্তিতে যেখানে জ্যাক নিজের জীবন দিয়ে রোজকে বাঁচায় আর রোজও তার বাকি জীবন জ্যাকের স্মৃতিতেই কাটিয়ে দেয়। কিন্তু এই ছবিটি সত্য ঘটনার উপর নির্মিত হলেও ছবির এই অংশটি ছিল সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট অভিনীত টাইটানিক চলচ্চিত্রটি এতবার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছিল যে এর রিলটি অত্যন্ত জীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তাই প্যারামাউন্ট পিকচার্সকে আবার রিল পাঠাতে হয়েছিল। ছবিটির আগে নাম ঠিক করা হয়েছিল ‘প্ল্যানেট আইস’।