বুধবার রাত ১২টায় বার্সার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে লিওনেল মেসির । এখন মেসি হয়ে গেছেন ‘ফ্রি এজেন্ট’। অর্থাৎ স্বাধীন। চাইলেই যে কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারেন মেসি।
কিন্তু বার্সার নতুন সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বারবার প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও কেন পুরোনো চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন চুক্তি করা গেল না? কেন বারবার বলা সত্ত্বেও মেসির সামনে নতুন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হতে পারলো না বার্সা?
বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাই সেই জবাব দিয়েছেন। জানিয়েছেন, লা লিগার যে নতুন ফাইন্যান্সিয়াল প্রটোকল তৈরি করা হয়েছে, সেই প্রটোকলই বাধার সৃষ্টি করেছে তাদের সামনে। যে কারণে মেসির সামনে চুক্তি নবায়নের নতুন প্রস্তাবটা উত্থাপন করতে পারছে না বার্সা।
২০০০ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সায় যোগ দেন মেসি। তখন তিনি ভর্তি হন লা মাসিয়ায়। সেখান থেকে ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছেন আজকের বিশ্বসেরা মেসিতে। দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক এখন পুরোপুরি শেষ হওয়ার পথে। বার্সার সঙ্গে ৩০ জুন রাতে মেসির চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিচ্ছেদই এখন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথচ হুয়ান লাপোর্তা বারবারই বলছিলেন, ‘মেসি আমাকে বলেছে যে, সে বার্সায়ই থাকতে চায়।’ একই সঙ্গে লাপোর্তা আরও জানিয়েছেন, তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন লা লিগার নতুন নীতি অনুসারে মেসিকে বার্সায় ধরে রাখার বিষয়ে।
লাপোর্তা আজ স্প্যানিশ রেডিও ওনডা সিরোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সব কিছু ভালোভাবেই এগুচ্ছে। সে (মেসি) আমাদের বলেছে যে, বার্সায় থাকতে চায়। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কিন্তু আমাদের সবার আগে ফাইন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে রুলসের সঙ্গে সব কিছু সমন্বয় করতে হবে।’
লাপোর্তা আরো বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো অপশন আছে। আমরা এর মধ্যে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয় এমন একটি সেরা অপশন বেছে নেব। তবে আমরা চাই সে থাকুক। যদি তিনি থাকেন, তাহলে অবশ্যই আমরা তাকে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং ভারসাম্যপূর্ণ দল উপহার দিতে পারবো।’
লা লিগা ২০১৩ সাল থেকেই একটি নীতি প্রতিষ্ঠা করেছে। যেটার আলোকে প্রতিটি ক্লাব সর্বোচ্চ কত টাকা ব্যয় করতে পারবে, সে নিয়মনীতি বেঁধে দিয়েছে। এদিকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আয়কারী ক্লাব হয়েও বার্সেলোনা গত বছরের তুলনায় করোনাভাইরাসের কারণে ১২৫ মিলিয়ন ইউরো কম লাভ করেছে এই বছর।
সব মিলিয়ে বার্সার সামনে একটি জটিল পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে বলা যায়।