বিরোধপূর্ণ জলসীমায় যেকোনো ‘আক্রমনাত্মক পদক্ষেপের’ ব্যাপারে ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছে লেবানন। ওই জলসীমায় দুই দেশই অফশোর এনার্জির খোঁজ করছে। এরই অংশ হিসেবে গ্যাস উত্তোলনে ওই এলাকায় পৌঁছেছে ইসরায়েলের একটি জাহাজ। খবর আল জাজিরার।
প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন, লন্ডনভিত্তিক এনার্জিয়ান পরিচালিত প্রাকৃতিক গ্যাস স্টোরেজ এবং উৎপাদন জাহাজের আগমনের পর বিতর্কিত এলাকায় যেকোনো কার্যকলাপ আগ্রাসন এবং একটি উস্কানিমূলক কাজ হবে।
ইসরায়েল বলেছে, যে জলসীমা নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে তা তাদের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। এটি বিতর্কিত জলসীমার মধ্যে নয় বলে দাবি তাদের।
তবে রোববার এক বিবৃতিতে লেবাননের প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে যে আউন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে ‘ইসরায়েলের সঙ্গে বিতর্কিত সামুদ্রিক এলাকায় জাহাজের প্রবেশের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং সেনাবাহিনী কমান্ডকে বিষয়টির ওপর ভিত্তি করে সঠিক ও সরকারি তথ্য সরবরাহ করতে বলেছেন’।
আউন বলেন, দক্ষিণের সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণের জন্য আলোচনা অব্যাহত রয়েছে এবং ‘বিতর্কিত এলাকায় যেকোনো কাজ বা কার্যকলাপ একটি উস্কানি ও আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে’।
আউনের বিবৃতির ব্যাপারে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী কারিন এলহারার জাহাজটি যাওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি আশা করেন যে এটি দ্রুত কাজ শুরু করবে।