লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে সন্ত্রাসের মাধ্যমে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেই তারা বেঁচে আছে। সন্ত্রাসী করেই তারা ক্ষমতায় থাকে এবং সন্ত্রাসী কার্যকালাপের মাধ্যমেই তারা ক্ষমতায় আসে। আওয়ামী লীগের কাছে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান আশা করা ভুল। বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদের উপর হামলা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ দেশে শান্তি চায় না। তাদের কাছে শান্তি আশা করা বোকামি।
শুক্রবার (১০জুন) সকালে রাজধানীর এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির পার্টি অফিসে দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের কারামুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, সরকারি দলের অধিকাংশ সদস্য কানাডায় বাড়ি করেছেন। দুবাইতে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তারা দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছনে। জনগণের টাকায় ভোগ বিলাসে জীবন যাপন করছেন। অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষের জীবন পরিচালনা করা এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ শান্তিতে নেই। মানুষের ঘরে খাদ্য নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। লুটেরাদের কবলে পড়ে দেশবাসী অসহায়।
তিনি আরও বলেন, যারা দেশের মঙ্গল চায়, মানুষের শান্তি চায়, স্বৈরাচারমুক্ত দেশ চায়, তারাই এলডিপি করে। যারা সুযোগ সন্ধানী এলডিপিতে তাদের কোন জায়গা নেই। কারণ এলডিপি দেশপ্রেমিকদের দল। কোনো অসৎ ব্যবসায়ী ও দুষ্কৃতিকারী এলডিপিতে থাকতে পারে না।
সংবর্ধিত নেতা এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, আমি গত ৯ মে চান্দিনায় কাউকে লক্ষ করে গুলি করিনি। যখন আমার উপর হামলা হয়েছে তখন আমি আত্মরক্ষার্থে ফাঁকা গুলি ছুড়েছি। আমার উপর যারা হামলা করেছে তাদের ব্যাপারে আমি অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ তাদের ব্যাপারে কোনো অ্যাকশন না নিয়ে উল্টো আমাকেই গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। আমি জীবনে বহুবার গ্রেফতার হয়েছি। মাসের পর মাস জেলে খেটেছি। আমি হামলা মামলা জেল জুলুম ভয় পাই না। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। এবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। আমি কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করবো না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট মাহমুদ মোর্শেদ, ড. নেয়ামুল বশির, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম প্রমুখ।