অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ৪ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল স্বাগতিকরা। ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দাসুন সানাকার দল। ২০১০ সালের পর এই প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আনন্দ পেল শ্রীলঙ্কা।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (২১শে জুন) চতুর্থ ওয়ানডেতে রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ভরসার নাম হয়ে উঠেন ডেভিড ওয়ার্নার। অ্যারন ফিঞ্জ আউট হন শূন্য রানে। মিচেল মার্শ করেন ২৬ রান। মার্নাস লাবুশান ও আলেক্স ক্যারেরা খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি। লাবুশান ১৪ ও ক্যারে ১৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ট্রাভিস হেড করেন ২৭ রান। হার্ডহিটার হিসেবে পরিচিত গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও জ্বলে উঠতে পারেননি।
৬ উইকেট চলে গেলেও তখনো ক্রিজে ছিলেন ওপেনিংয়ে নামা ওয়ার্নার, জেতার আশা বেঁছে ছিল অস্ট্রেলিয়ারও। কিন্তু ৯৯ রানে ওয়ার্নার আউট হলে আশাও অনেকটা শেষ হয়ে যায় সফরকারী দলের। যদিও প্যাট কামিন্সের পর ম্যাথুউ কুহনম্যান শেষ বল পর্যন্ত জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তাদের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। ৪২ বলে ৩৫ রান করেন কামিন্স। কুহনম্যান ১২ বলে করেন ১৫ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নেন চামিকা করুনারত্নে, ধনঞ্জয়া ও ভেন্ডারসে। একটি করে উইকেট পান থিকশানা, হাসারাঙ্গা, ভালেগে ও শানাকা।
এর আগে চারিথ আসালাঙ্কার শতকে ভর করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক শিবির আপার অর্ডারের ব্যাটারদের টপাটপ হারিয়ে ফেলে। নিরোশান দিকভেলা ১, কুশাল মেন্ডিস ১৪ ও পাথুম নিসাঙ্কা ১৩ রান করেন। এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে হাল ধরেন। দেখেশুনে খেলে দুজনে গড়েন ১০১ রানের জুটি। মিচেল মার্শের বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া। ফেরার আগে ৬১ বলে ৭ চারে ৬০ রান করেন তিনি।
ধনঞ্জয়া আউট হলে নিয়মিত বিরতিতে আবার উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা। তবে অবিচল ছিলেন একমাত্র আসালাঙ্কা। তিনি ছোট দুটি জুটি গড়ে তোলেন দুনিত ভালেগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে। দাসুন শানাকা রানআউট হলে ভালেগের সঙ্গে তার জুটি হয় ৫৭ রানের। চামিকা করুনারত্নে কুহনম্যানের বলে আউট হন দলীয় ২২২ রানে। এরপর হাসারাঙ্গার সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়ে আউট হন আসালাঙ্কা। ১০৬ বলে ১০ চার ও এক ছয়ে তিনি করেন ১১০ রান।
হাসারাঙ্গা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২১ রান করে। শেষের দুই খেলোয়াড় জাফ্রে ভেন্ডারসে ও মহেশ থিকশানা শিকার হন রানআউটের। অজিদের হয়ে দু’টি করে উইকেট পান কুহনম্যান, প্যাট কামিন্স ও মিচেল মার্শ। একটি উইকেট নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।