গত বছর সাদা পোশাকে বেশ ছন্দে ছিলেন টাইগার ব্যাটার লিটন দাস। চলতি বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। ক্যারিবিয়ান পেসার অ্যান্ডারনর ফিলিপের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে দৃষ্টিনন্দন ভঙ্গিতে ব্যাট চালালেন লিটন। পয়েন্টে থাকা ফিল্ডারকে দর্শক বানিয়ে ঠাঁই পেল সীমানার বাইরে। আর এই চারের মধ্যদিয়ে চলতি বছরে (টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট মিলিয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক হাজার রানের কীর্তি গড়লেন লিটন।
শুক্রবার (২৪ জুন) সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস হেরে ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। সে ম্যাচের প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন লিটন। চলতি বছর তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে সবার আগে হাজার রানে পৌঁছান তিনি। এতে করে তিনি পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম, শ্রীলঙ্কার পাথুম নিসাঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাওয়াজা থেকে শুরু করে বাকি সবাইকে তার পেছনে ফেলেন।
ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় নামার আগে লিটনের মোট রান ছিল ৯৯৬। এদিন বাংলাদেশের ৩ উইকেট পড়ার পর ক্রিজে আসেন তিনি। কিন্তু প্রথম পাঁচ ডেলিভারিতে রান শূন্য থাকেন লিটন। ষষ্ঠ বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটের সঙ্গে সংযোগ ঠিকঠাক না হওয়ায় বল উঠে যায় উপরে। তবে কোনো ফিল্ডার সেখানে না থাকায় বিপদ ঘটেনি। বরং ডাবল নিয়ে রানের খাতা খোলেন লিটন। পরের বলেই বাউন্ডারি মেরে হাজার রানের ক্লাবে ঢুকে পড়েন তিনি।
ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে চলতি বছর খেলা আগের ১৫ ম্যাচের ২০ ইনিংসে ৪৯.৮০ গড়ে রান তুলেন লিটন। ৬ হাফসেঞ্চুরির পাশাপাশি ৩ সেঞ্চুরিও আছে তার নামের পাশে। সর্বোচ্চ ১৪১ রানের ইনিংসটি তিনি খেলেন গত মাসে। মিরপুরে অনুষ্ঠিত ওই টেস্টে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।
২০২২ সালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় লিটনের ঠিক পেছনেই আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভৃত্য অরবিন্দ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে খেলা ২৩ ম্যাচে তার রান ৯৪৫। তিন নম্বরে থাকা সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর ১০ ম্যাচের ১২ ইনিংসে করেছেন ৯১৩ রান।
শীর্ষ দশে থাকা বাকিরা হলেন যথাক্রমে পাকিস্তানের ইমাম উল হক (৯ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ৮৬৭ রান), আরব আমিরাতের চিরাগ সুরি (২৩ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ৭৭১ রান), শ্রীলঙ্কার নিসাঙ্কা (২০ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ৭৬১ রান), উসমান খাওয়াজা (৫ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ৭৫১ রান), নেপালের দিপেন্দ্র আইরি (২৩ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ৭১৮ রান), ওমানের জতিন্দর সিং (২৪ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ৭১৮ রান) ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা (১৬ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ৭১২ রান)।