চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনারে অগ্নিকাণ্ডের সময় প্রায় এক হাজার কর্মী কাজ করছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানটিতে মোট তিন হাজার কর্মী কাজ করেন।
২৬ একর জায়গা জুড়ে বিএম কন্টেনারের অবস্থান। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে প্রতিষ্ঠানটিতে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহত হয়েছে দুই শতাধিক।
প্রতিষ্ঠানটিতে আগুন লাগার পরই নিয়ন্ত্রণে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিন্তু এরপরই ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এতে অনেক ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ আহত হন পুলিশ সদস্যরা।
রাত যত বাড়তে থাতে অগ্নিকাণ্ডের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। পরে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় আরও কয়েকটি ইউনিট। এখন পর্যন্ত ২৯ টি ইউনিট অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
এদিকে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। চিৎকার, কান্না আর আহাজারিতে ভারী পুরো হাসপাতাল। হাসপাতালের সামনে হতাহতের স্বজনদের নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।
হাসপাতালে একে একে আনা হচ্ছে আহতদের। অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে করেও হতাহতদের আনা হচ্ছে। আহতদের চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।