যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস মাত্র ২৫ মিনিটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করলেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় কোলনোস্কোপি করার জন্য অ্যানাসথেসিয়ার প্রভাবে সকাল ১০টা ১০মিনিট থেকে ১১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত অচেতন ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় কমলা হ্যারিস বাইডেনের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আবার নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে নেন বাইডেন।
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস।
মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাইডেন। ৭৯তম জন্মদিনের প্রাক্কালে শুক্রবার ওয়াশিংটনের উপকন্ঠে ওয়াল্টার রিড মেডিক্যাল সেন্টারে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যান।
হোয়াইট হাউস বাইডেনের এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাকে তার ‘বার্ষিক রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ বলে জানিয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাইডেন এই প্রথম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছেন। বাইডেনের অনুপস্থিতিতে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী এবং পারমাণবিক অস্ত্রাগারের দায়িত্বও কমলার কাছে ছিলো।
এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, প্রেসিডেন্ট বাইডেন অ্যানাসথেসিয়ার প্রভাবে অচেতন থাকার সময় কমলা হ্যারিসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়েস্ট উইংসে তার অফিস থেকেই কাজ করেন।
সাকি জানান, এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে নজিরবিহীন নয়। এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময় ঠিকই একইভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছিল। ২০০২ এবং ২০০৭ সালে ঠিক একইভাবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশেরও কোলোনোস্কপি হয়েছিল। তখনও ভাইস প্রেসিডেন্ট সাময়িক সময়ের জন্য তার চেয়ার সামলেছিলেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগেই নজির গড়েছেন। ৫৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক দেশের প্রধান দুই দলের মধ্যে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী ও প্রথম এশীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন হয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এই ক্যালিফোর্নিয়ার এই সিনেটর। ফলে বাইডেন তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পাবে যুক্তরাষ্ট্র। এটা হবে আরও বড় রেকর্ড। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।