ক্রীড়া ডেস্ক: শক্তিশালী লেবাননের সঙ্গে হারের পরদিনও মন ভালো নেই বাংলাদেশ ফুটবলারদের। বিশেষ করে ডিফেন্ডার তারিক কাজীর। শেষ মুহূর্তে তার ভুলেই প্রথম গোল করেছিল প্রতিপক্ষ। তবে হতাশা কাটিয়ে উঠতে সতীর্থদের পাশে পাচ্ছেন তারিক। কোচিং স্টাফও চেষ্টায় দলকে উজ্জীবিত করতে। সাফের প্রথম ম্যাচ যারা খেলেছেন, শুক্রবার (২৩ জুন) তাদের ছিল রিকভারি সেশন। আর বাকিদের অনুশীলন করিয়েছেন হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
হতাশা আর বিষাদ, সব কিছুই যেন ভর করেছে তারিক কাজীর উপর। লেবানন ম্যাচের খল নায়ক যে বাংলাদেশ ডিফেন্ডার। কোন ভাবেই সেই স্মৃতি ভুলতে পারছেন না। একমাত্র এই সবুজ গালিচাই তো পারে তার বিষন্নতা কাটাতে। তাই ফুটবলাররা যখন অনুশীলন শেষে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন তখন তার একাকীত্বের অনুশীলন।
অনুশীলন শুরুর আগে গ্যালারিতে, ফুটবলারদের নিয়ে কোচের ছোট্ট এক সভা। দলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা। কিন্তু ফুটবলাররা কতটা স্বস্তিতে? হতাশ সবাই। অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া নিজেই কথা বলেন তারিকের সঙ্গে, দিয়েছেন শান্তনাও। তারিক কাজীও যে বাংলাদেশ।
জামাল ভুঁইয়া বলেন, ‘মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটিই আমাদের ফাইনাল ম্যাচ।’ হাভিয়ের কাবরেরা অবশ্য থেমে নেই। শুক্রবার একাদশের বাইরের ফুটবলারদের নিয়েই এঁকেছেন মালদ্বীপ ম্যাচের ছক। লেবাননের বিপক্ষে খেলা সবাই আলাদা করে মাঠেই সেরেছেন রিকভারি সেশন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আসলে সবাইকে গোল করতে হবে শুধু স্ট্রাইকারদের ওপর নির্ভর বা দায় হলে হবে না। আমরা টিম হিসেবে খেলি, জিতলে সবাই একসঙ্গে জিতি, হারলেও সবাই এক সঙ্গে।’