দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পর পর যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি বন্দুক হামলার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বাইডেন প্রশাসন। সর্বশেষ ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের তুলসা শহরের একটি হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলায় চারজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব ঘটনার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন ‘যথেষ্ট’, ‘যথেষ্ট’ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার (২ জুন) কংগ্রেসকে আহ্বান জানান, বন্দুক আইন সংস্কার, ব্যক্তিগত তথ্য খতিয়ে দেখার বিষয়টির সম্প্রসারণ ও অন্যান্য বিষয়গুলো নজরে আনার।
হোয়াইট হাউজ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় বাইডেন টেক্সাসের একটি স্কুলে, নিউইয়র্কের একটি মুদি দোকানে এবং ওকলাহোমার একটি মেডিকেল ভবনে হামলার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আরও কত প্রাণ যাবে এতে? তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় বন্দুক আইন সংশোধন করুন’। ‘ঈশ্বরের দোহাই, আমরা আর কত হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে রাজি আছি?’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আবার আমেরিকান জনগণকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।’ তিনি কংগ্রেসের কাছে অনুরোধ জানান, বন্দুক আইন নিয়ে পার্লামেন্টে সংশোধনের বিল নিয়ে আসার জন্য।
আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী, আইন বদল করতে হলে প্রথমে তা কংগ্রেসে আনতে হবে। সেখানে বিল পাশ হলে তা যাবে সিনেটে। সিনেট সেই বিলকে ছাড়পত্র দিলে তবেই প্রেসিডেন্ট সই করে বিলকে আইনে পরিণত করতে পারেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও একজন ডেমোক্রেট নেতা বাইডেন এর আগেও বলেন, এখন আমেরিকায় যেভাবে বন্দুক কেনা যায়, সেই প্রক্রিয়ায় বদল আনা দরকার। যিনি বন্দুক কিনছেন, তার বিষয়ে সমস্ত তথ্য থাকতে হবে পুলিশের কাছে। পুলিশ ছাড়পত্র দিলে তবেই বন্দুক কেনা যাবে।
তার নির্দেশনায় আরও ছিল, বন্দুকের ম্যাগাজিনের মাপ বড় হবে না। উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বন্দুক খোলা বাজারে বিক্রি করা যাবে না। ওই ধরনের বন্দুক নিয়ে বন্দুকধারী যদি হামলা চালায়, তাহলে বিক্রেতার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, অন্য যে কোনো ধনী দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় মৃত্যুর হার বেশি। সম্প্রতি বন্দুক হামলায় নিউইয়র্কে ১০ জন জন কৃষ্ণাঙ্গ, টেক্সাসে ১৯ জন শিশু ও দুইজন শিক্ষক নিহত হন।