সর্ব-ভারতীয় মুসলিমদের প্রধান হিসেবে ‘ইমারাত-ই- শরইয়্যাহ’-এর আমির-উল-হিন্দ নির্বাচিত হয়েছেন। আজ শনিবার (৩ জুলাই) দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভায় দেশের বিশিষ্ট আলেম ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সমর্থনে পঞ্চম আমিরুল হিন্দ হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভায় উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের (একাংশ) সভাপতি আল্লামা মাহমুদ মাদানি, মাওলানা আবদুল আলিম ফারুকি, মাওলানা নেমাতুল্লাহ, মাওলানা রহমাতুল্লাহ কাশ্মীরি, মুফতি আহমদ দেওলা, মাওলানা সাইয়েদ আসজাদ মাদানি, আসাম রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা মাওলানা বদরুদ্দীন আজমল, মাওলানা সাইয়েদ আশহাদ রশিদীসহ আরো অনেকে।
চতুর্থ আমিরুল হিন্দ হিসেবে ছিলেন মাওলানা কারি মুহাম্মদ সালমান মনসুরপুরি (রহ.)। গত ২১ মে তাঁর মৃত্যুর পর সম্মানজনক এই পদটি শূণ্য হয়ে পড়ে। গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের এই পদে মাওলানা আরশাদ মাদানিকে আমিরুল হিন্দ হিসেবে নির্বাচন করা হয়।
২০০৬ সাল থেকে দারুল উলুম দেওবন্দের মহাপরিচালক মাওলানা মারগুবুর রহমান তৃতীয় আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সাল থেকে মাওলানা উসমান মানসুরপুরি চতুর্থ আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শরিয়াত-ই-হিন্দ ভারতীয় মুসলিমদের একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এর আওতায় দেশের বিভিন্ন প্রদেশে আমিরে-ই-শরিয়ত নির্ধারণ করা হয়। পুরো সংগঠনের প্রধান হিসেবে আমিরুল হিন্দ দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনটির প্রধান চাঁদ দেখার নিশ্চয়তা, এতিম ও বিধবাদের ভাতা এবং অসহায়দের জন্য বিভিন্ন সময় সহায়তার কাজ সম্পাদন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কাজ ও মুসলিমদের নানা সমস্যার সমাধানে কাজ করে সংগঠনটি।
এছাড়া তিনি একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘকাল যাবত হাদিস পড়াচ্ছেন। তিনি ভারতের বৃহত্তম মুসলিম সংগঠন জমিয়ত-ই-উলামায়ে হিন্দের সভাপতি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের শীর্ষ নেতা মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি (রহ.) তাঁর পিতাসূত্র : দ্য রিপোর্টস