নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্নের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সে বৈঠকে চীন, বাণিজ্য, সুরক্ষা ও বন্দুকধারীদের সহিংসতা নিয়ে কথা হয়েছে তাদের।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর আবার হোয়াইট হাউসে পা রাখলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার জাসিন্ডা আর্ডার্নের সঙ্গে বাইডেনের আলোচনায় অনেকগুলো বিষয় উঠে এসেছে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে চীনের প্রসঙ্গ। দুই নেতাই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলিতে চীনের সামরিক ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপ বাড়ানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
দুজনেই ওই অঞ্চলে আমেরিকার উপস্থিতি আরো বাড়ানোর বিষয়েও একমত হয়েছেন। বাইডেন বলেছেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমাদের আরো কাজ করতে হবে।’
এদিকে একই দিনে টোঙ্গার সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য চুক্তি করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাইডেন ও আর্ডার্ন প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলোর নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড ও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা নিয়ে দুই নেতার মতৈক্য হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে নিউজিল্যান্ড বাইডেনের নতুন ইন্দো-প্যাসিফিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটিতে (আইপিইএফ) যোগ দিয়েছে। যেখানে ১৪টি দেশ আছে। আর্ডার্ন জানিয়েছেন, ‘আইপিইএফের উদ্দেশ্য হলো আমাদের অঞ্চলে আর্থিক সহযোগিতা ও সমৃদ্ধি বাড়ানো।’
এ ছাড়া দুই নেতার আলোচনায় ঘরোয়া সন্ত্রাস ও বন্দুকধারীদের তাণ্ডব বন্ধ করার প্রসঙ্গও আসে। ২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে এক শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে ৫১ জন মুসলিমকে হত্যা করেছিল।
এরপরই দেশের ১২০ জন পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ১১৯ জনের সমর্থনে আর্ডার্ন অটোমেটিক রাইফেল রাখা নিষিদ্ধ করতে আইন করেন। বাইডেন আর্ডার্নের এই প্রয়াসকে সমর্থন করেছেন।