পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে স্বারকলিপি দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার (২৪শে জুন) সকালে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে স্বারকলিপি দেয়ার আগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। এসময় ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতারা বলেন, অন্যায়ভাবে পানির দাম বাড়িয়েছে ওয়াসা। জণগণের পকেটের টাকায় ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানোর সমালোচনা করা হয় সমাবেশে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, “করোনা মহামারীকালে নাগরিকরা যখন তীব্র আর্থিক সংকটে নিপতিত ও কর্মহীন হয়ে পড়ছেন, আয়-রোজগার সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে বেকার ও দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তখন ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অমানবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত, অযৌক্তিক, মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও গণবিরোধী, যা নগরবাসীর জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। করোনা মহামারীর এই দুঃসময়ে পানির দাম বৃদ্ধি করা হলে জনজীবনে বিরাজমান নাভিশ্বাস আরও বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে।
“ঢাকা মহানগরবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখা পানির দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ঢাকা ওয়াসার দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করে সকল নগরবাসীর জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহের জোর দাবি জানাচ্ছে।”
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বিগত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম প্রায় তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে, কিন্তু তাতে নগরবাসীর ভোগান্তি কমেনি।
আবাসিকে ঢাকা ওয়াসার সরবরাহকৃত প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) পানির দাম ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা করা হয়েছে। আর বাণিজ্যিক সংযোগে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা করা হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলেও পানির দাম বাড়িয়ে ছিল ঢাকা ওয়াসা। তখন আবাসিকে প্রতি ইউনিটের দাম বেড়েছিল ২ টাকা ৯০ পয়সা। এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, ২০১৮ সালের জুলাইতে, ২০১৭ সালের অগাস্টে পানির ‘মূল্য সমন্বয়’ করে ওয়াসা।