ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি দেশটির প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতিও। ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ভারতের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন দ্রৌপদী। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী যশবন্ত সিনহাকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি।
ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী সাঁওতাল নারী। তার বাড়ি দেশটির ওড়িশায়। দ্রৌপদী মুর্মুর জন্ম ১৯৫৮ সালে ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে।
একজন গ্রাম পরিষদ প্রধানের কন্যা মুর্মু রাজ্যের রাজধানী ভুবনেশ্বরের রামাদেবী মহিলা কলেজে পড়াশোনা করেন।
ওড়িশা সরকারের একজন কেরানি হিসাবে কর্মজীবন শুরু হয় মুর্মুর। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সেখানকার সেচ ও জ্বালানি বিভাগের জুনিয়র সহকারী হিসাবে কাজ করেন তিনি। শাশুড়ির কারণে ওই চাকরি ছেড়ে দেন দ্রৌপদী। পরে শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নেন তিনি।
দ্রৌপদীর রাজনীতিতে পথচলা শুরু ১৯৯৭ সালে। ওই বছর তিনি রায়রাংপুরের স্থানীয় নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। বিজেপির সদস্য হিসাবে তিনি রায়রাংপুর আসনে দু’বার বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিজু জনতা দল পার্টির নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বে রাজ্যের জোট সরকারের মন্ত্রী হন। প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দফতর সামলান তিনি। পরে রাজ্যের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রীও হন তিনি।
২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ‘তফসিলি উপজাতির’ বিজেপির রাজ্য শাখার সভাপতি ছিলেন
২০১৫ সালে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের প্রথম নারী গভর্নর নিযুক্ত হন তিনি। গত বছরের জুলাই পর্যন্ত ছয় বছর এই পদে আসীন ছিলেন তিনি।