শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন

ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের কাছে হারলো বাংলাদেশ

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : আগস্ট ৫, ২০২২

শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে সিকান্দার রাজা ও ইনোসেন্ট কাইয়ার রেকর্ড গড়া জুটিতে বাংলাদেশের রানের পাহাড় টপকে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। কাইয়া ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পর থামলেও অভিজ্ঞ সিকান্দার রাজা ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। এতে করে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায়।

বাংলাদেশের দেয়া ৩০৪ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় উইকেটে ইনোসেন্ট কাইয়া ও ওয়েসলি মাধভেরে শুরুর ধাক্কা সামালের চেষ্টা চালান। জুটিতে ৬০ রান করার পর রান আউটের শিকার হয়ে মাধভেরে আউট হয়ে ফেরেন। তখন জিম্বাবুয়ের দলীয় সংগ্রহ ৬২ রান। চতুর্থ উইকেটে কাইয়া ও সিকান্দার রাজা রেকর্ড ১৯২ রানের জুটি গড়েন। উভয়েই সেঞ্চুরি তুলে নেন। জয় থেকে অর্ধশত রান দূরে থাকতে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়া ইনোসেন্ট কাইয়া ১২২ বলে ১১ চার ও ২ চয়ে ১১০ রান করে মোসাদ্দেকের শিকারে পরিণত হন।

কিন্তু অপরপ্রান্তে অভিজ্ঞ সিকান্দার রাজা অপরাজিত সেঞ্চুরি করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা রাজা ১০৯ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

এ হারের ফলে ৯ বছর পর ও টানা ১৯ ম্যাচ পর ওয়ানডে ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশ পরাজয় দেখলো।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও লিটন শতরানের জুটি গড়েন। দলীয় ১১৯ রানে সিকান্দার রাজার বলে ইনোসেন্ট কাইয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। তার আগে অবশ্য ৮৮ বলে ৯ চারের সাহায্যে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান ও প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নামার আগে ৮ হাজার রানের রেকর্ড করতে তামিমের প্রয়োজন ছিল ৫৭ রানের।

তামিমের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-বিজয়কে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৭১ রানে পায়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করায় স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন লিটন। তার আগে লিটন ৮৯ বলে ৯ চার ও এক ছয়ে ৮১ রান করেন। এরপর মুশফিক নেমে বিজয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন। তারা দ্বিতীয় উইকেটে ৯৬ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ২৬৭ রানে ৬২ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে খেলে অভিষিক্ত ভিক্টর নিয়ুচির শিকারে পরিণত হন। প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়ে সাত বছর পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি ছিল বিজয়ের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি।

বিজয়ের বিদায়ের পর ক্যারিয়ারের ৪২তম অর্ধশত তুলে নেন মুশফিকুর রহীম। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৪৯ বলে ৫ চারে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। পবিত্র হজ পালনের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দলে ছিলেন না মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।

জিম্বাবুয়ের হয়ে সিকান্দার রাজ ও ভিক্টর নিয়ুচি একটি করে উইকেট লাভ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ