ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য করার অভিযোগে ছয়টি বিদেশি কোম্পানি ও একটি তেল ট্যাংকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র দফতর সোমবার (১ আগস্ট) আলাদা আলাদা বিবৃতিতে যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সেগুলার চারটি হংকং-ভিত্তিক, একটির অবস্থান সিঙ্গাপুরে এবং অপরটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের। খবর: পার্স টুডে
এছাড়া পানামার পতাকাবাহী ‘গ্লোরি হারভেস্ট’ নামের একটি তেল ট্যাংকারকে এই নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ইরানের তেল বিক্রি করে তেহরানকে কোটি কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহযোগিতা করার অভিযোগে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে আমেরিকায় এসব প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পদ থাকলে তা জব্দ করা হবে এবং কোনো মার্কিন প্রতিষ্ঠান এসব কোম্পানির সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে না। এছাড়া, কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান এসব কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন করলে সেসব প্রতিষ্ঠানও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। এ নিয়ে গত দুই মাসে আমেরিকা ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে তৃতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা দিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে ইরান, রাশিয়া, ভেনিজুয়েলা, চীন ও কিউবাসহ আরো বেশ কিছু দেশ। এসব দেশের সরকারগুলোকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে নিষেধাজ্ঞার ফলে খাদ্য ও ওষুধসহ সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে চূড়ান্তভাবে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় নিরপরাধ সাধারণ মানুষই হয় ভুক্তভোগী।
আমেরিকা এমন সময় ইরান-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করছেন, তিনি ইরানের পরমাণু সমঝোতায় প্রত্যাবর্তন করে তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চান।