শনিবারের (২৮ আগস্ট) জাতীয় দলের অিনুশীলন চলছে মাঠে। মুশফিকুর রহিম বরাবরের মতোই অনুশীলনে সবচেয়ে এগিয়ে। ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে নিজের কমফোর্ট জোন খুঁজে নেন। শুরুতে হাল্কা নকিংয়ের পর দীর্ঘক্ষণ সুইপে শরীরের জড়তা কাটান। ব্যাট রেখে মুশফিক তুলে নেন কিপিং গ্লাভস। ফিটনেস অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নিক লির সঙ্গে চললো তার কিপিং অনুশীলন। পাশেই যেটা হলো, সেটা উপস্থিত অনেকের কাছেই নতুন। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক হাই ক্যাচ অনুশীলন করাচ্ছেন কাজী নুরুল হাসান সোহান ও লিটন দাসকে। সোহান মিড উইকেট বরাবর, লিটন লং অনে।
দুজনের হাই ক্যাচ ও মুশফিকুর কিপিং পুরোপুরি ইঙ্গিত দিচ্ছিল, জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে উইকেটের পেছনে সফলভাবে দায়িত্ব সামলানো সোহানকে জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে। এরপর যা হলো, সেটাই হয়তো সোহানের জন্য সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। নিক লি উইকেটের সামনে। পেছনে মুশফিক। সোহান বল থ্রো করে অনুশীলন করাচ্ছেন মুশফিককে! আর পাশের নেটেই লিটন স্লগ ব্যাটিংয়ে সারছিলেন প্রস্তুতি। যেন শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের রসদ খুঁজে নিচ্ছিলেন।
পরবর্তী সময়ে প্যাড ও ব্যাট নিয়ে ইনডোরের আউটডোর মাঠে ছুটলেন সোহান। সেখানে চলল ব্যাটিং অনুশীলন। ৩০ মিনিটের মতো সময় কাটিয়ে মূল মাঠের সেন্টার উইকেটে স্লগ অনুশীলন। থ্রো করছিলেন কুক। একের পর এক বল নিখুঁত টাইমিংয়ে সীমানায় পাঠাচ্ছিলেন চোখের পলকে।
কিপিং গ্লাভস ছাড়া সোহানের ফিল্ডিং অনুশীলন যেন মিরপুরে নতুনত্বের স্বাদ। কিন্তু এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত কি না, সেটা বিরাট প্রশ্ন। মুশফিকের ফিরে আসায় উইকেটের পেছনে তাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিকের বিকল্প নেই। ঠিক তেমনই উইকেটের পেছনে সোহান অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দল সাজাতে তার হাতে কিপিং গ্লাভস ওঠার সম্ভাবনা নেই। অনুশীলন যেন সেই বার্তাই দিচ্ছে।
তিন বছর পর দলে ফিরে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেও সোহান আস্থা অর্জন করেছেন। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তার অবদান ছিল দারুণ। নিউ জিল্যান্ড সিরিজে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবেন তিনি।