শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাইবার আইনের প্রত্যাহার হচ্ছে ৫৮১৮ মামলা নদী দূষণমুক্ত করা গেলে পরিবেশ উন্নত হবে ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক অফিস আদালত খুলেছে, যানচলাচল স্বাভাবিক ছাগলকাণ্ডে মতিউর ও তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত বরুড়ায় মামার বিরুদ্ধে ভাগিনার প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ! মোশারফ প্যারিস অলিম্পিকে ডাক পেলেন অলিম্পিক রিংয়ে সাজবে আইফেল টাওয়ার প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা! বরিশাল প্লে-অফে শক্তিশালী হচ্ছেন রওশন, দুর্বল জিএম কাদের! খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন ৪৮ নারী প্রার্থী সিরিজ নির্বাচন করতে চায় ইসি

রুপগঞ্জ ট্রাজিডি: ভেতরে প্রচুর ‘দাহ্য ভোজ্যতেল’

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : জুলাই ৯, ২০২১

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে পোড়া হাসেম ফুডস কারখানার ভেতরে প্রচুর ভোজ্যতেল পাওয়া গেছে, যার কারণে আগুন বেশি সময় ধরে জ্বলেছে বলে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে সজীব গ্রুপের ওই কারখানায় আগুন নেভানোর কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মনির হোসেন ও পরিদর্শক ফখর উদ্দিন। মনির বলেন, চারতলার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে একসঙ্গে অন্তত ২৫টি লাশ পাওয়া গেছে। ওই ওই ফ্লোরে এক ধরনের নসিলা তৈরি হতো, যা তৈরিতে ভোজ্য তেল ব্যবহার করা হতো।

ওই ভোজ্যতেলই মূলত জ্বালানি হিসেবে এতক্ষণ ধরে জ্বলছে। এছাড়া প্রচুর প্লাস্টিক ও কাগজের কার্টুন সেখানে ছিল। তিনি বলেন, ভোজ্য তেলপাইপ লাইনের মাধ্যমে পুরো ফ্লোরে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই পাইপ ফেটে ভোজ্যতেল মেঝেতে পড়ে সাংঘাতিক পিচ্ছিল হয়ে রয়েছে। চারতলায় কাজ করতে গিয়ে তিনিসহ ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন কর্মী পিছলে পড়ে আহত হয়েছেন বলেও জানান মনির।

রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস, কোমল পানীয় ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরির ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার পর রাতে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মী গ্লাভসে লেগে থাকা গাম দেখাচ্ছেন; সবকিছু ভীষণ তেলতেলে ও পিচ্ছিল ছিল।ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মী গ্লাভসে লেগে থাকা গাম দেখাচ্ছেন; সবকিছু ভীষণ তেলতেলে ও পিচ্ছিল ছিল।শুক্রবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪৯ জনের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয় ৫২।

সজীব গ্রুপর এই কারখানায় জুস, বেভারেজসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য তৈরি হত। ছয় তলা ভবনের ছাদে ওঠার জন্য দুটি সিঁড়ি রয়েছে, যার একটির ছাদের দরজা বন্ধ ছিল বলে এর মধ্যে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। কারখানাটিতে জুস, চকলেট, নসিলা, লিচু, সেমাই, চানাচুর ও বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি হতো বলে মৌমিতা নামে এক কিশোরী কর্মী জানাল। সে বলল, ভবনটির চার তলা ও পাঁচ তলায় চানাচুর সেমাই ভাজার কাজ চলত। প্রচুর তেল ব্যবহার করা হতো, যার জন্য ফ্লোর সব সময় গরম থাকত।

ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক ফখর উদ্দিন বলেন, কারখানার কর্মীদের লাশগুলো সরঞ্জামাদির সঙ্গে পুড়ে মেঝেতে পরে ছিল। বেশিরভাগের লিঙ্গ পরিচয় বোঝার কোনো উপায় নেই। ভোজ্যতেলের আগুনের প্রচুর গরম এবং ধোঁয়া, যার কারণে ওই ফ্লোরে ঢুকতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ