মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে যুক্তরাজ্যে পুনর্বাসন করার অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গতকাল রোববার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রসকে এ অনুরোধ করেন আব্দুল মোমেন। কিগালিতে কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে আব্দুল মোমেন ও এলিজাবেথ ট্রস আলোচনা করেন।
সোমবার (২৭ জুন) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ড. মোমেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, যুক্তরাজ্য ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের বিশ্বনেতা। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ রোহিঙ্গাকে একটি উন্নত জীবন দিতে পুনর্বাসনের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে যুক্তরাজ্য। এতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের বোঝা কিছুটা হলেও কমবে।
গত শতকের সত্তর ও নব্বইয়ের দশকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল, ফেরতও গিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে সময় মিয়ানমারের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়েছিল। কিন্তু এখন এ নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারে ব্যাপক বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এলিজাবেথ ট্রস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবটি বিবেচনা করবে যুক্তরাজ্য। তবে রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো, মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন।
আলোচনায় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য কম সংকট শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন যুক্তরাজ্য কমসংখ্যক ভিসা ইস্যু করছে। তিনি শিক্ষার্থী ভিসা ও ব্যবসায়ী ভিসা ঢাকা থেকে দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি অনুরোধ করেন।
এছাড়া দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।