শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

দেশে ২৪ ঘণ্টায় ২ মৃত্যু, শনাক্ত বেড়ে ১৬৮০

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২৬, ২০২২

দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আবারো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখি। সেই সঙ্গে বাড়ছে শনাক্তের হার। মৃত্যু হার সে তুলনায় না বাড়লেও গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আরো ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১ হাজার ৬৮০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭২৮টি নমুনা পরীক্ষা করে এই নতুন রোগীদের শনাক্ত করা হয়েছে। আজ দুই জন সহ এ পর্যন্ত মোট ২৯ হাজার ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত প্রায় তিন মাসের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে তিনজনের মৃত্যু হয় গতকাল। মাঝে টানা ২০ দিন কোভিডে মৃত্যুহীন ছিল বাংলাদেশ।

নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এর চেয়ে বেশি ছিল সর্বশেষ গত ১২ ফেব্রুয়ারি।গতকাল নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো ১৬৯ জন কোভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৬৮ জন সেরে উঠলেন।

সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারণ করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে রোগী শনাক্তের হার টানা দুই সপ্তাহের বেশি ৫ শতাংশের নিচে থাকলে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।

এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।

গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ