মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের প্রশংসায় বিদেশি কূটনীতিকরা

রিপোর্টারের নাম :
আপডেট : জুন ২৫, ২০২২

পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়ন সক্ষমতা মর্যাদার প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন কূটনীতিকরা। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন তারা। এই সেতু জিডিপি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। আর বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, এই সেতু শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতের বাঙ্গালীদের জন্যও বড় গর্বের বিষয়।

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই উন্মোচিত হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের ক’টনীতিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পদ্মাসেতু নিয়ে তারা প্রতিক্রিয়া জানান। বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য গর্বও। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি জানিয়েছেন পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ কতটা শক্তিশালী এবং তারা কি করতে পারে। শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, সারাদেশের অর্থনীতিতে পদ্মা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ইতো নাওকি আরো বলেন, এই সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সরকার এবং এই দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাই। এটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পদ্মা সেতু ঢাকা ও দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ আরো সহজ করবে সবক্ষেত্রে। ১ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি বাড়বে বলেও আামি মনে করি।

পদ্মা সেতু চালুর ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারত এবং অন্যান্য দেশের বাঙ্গালীদের জন্যও অনেক গর্বের। পদ্মা নদীর উপর এই সেতুটি দু’পারের মানুষের যোগাযোগ এক করার বড় প্রতীক। এই সেতু ভারতের পাশাপাণি নেপাল এবং অন্যান্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর সাথেও ভবিষ্যতে বড় ভূমিকা রাখবে। ’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত।

এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। এক বিবৃতিতে পদ্মা সেতু নির্মাণকে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের নেতৃত্বের আরেকটি উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য সংবাদ