সিলেট-সুনামগঞ্জের পর দেশের উত্তরাঞ্চলেও নদনদীর পানি কমে বন্যার উন্নতি হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়িঘরে ফিরছেন বন্যার কারণে গৃহছাড়া মানুষ। কিন্তু পানিতে ডুবে থাকায় নড়বড়ে হয়ে পরা ঘরবাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। পরিবেশ দূষিত হওয়ায় পানিবাহিত রোগ ছড়ানোরও আশংকা আছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটও তাদের দুর্ভোগের কারণ।
প্রায় দু’ সপ্তাহ পানিবন্দি থাকার পর এখন কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সিলেট সুনামগঞ্জের মানুষের জীবনযাত্রা। গেলো কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি বাড়িঘর থেকে নেমে গেছে। সড়কগুলোও জেগে উঠেছে।
বন্যার পানি নামতে শুরু করায় আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছেন বানভাসিরা। তবে সিলেটের অনেক এলাকা এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। রয়েছে ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ।
সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও পানি নেমে গেছে। পানি কমায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। তবে বাড়িঘরের আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে, পরিবেশ হয়ে পড়েছে দূষিত।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে কোন এলাকা প্লাবিত হয়নি। লালমনিরহাটেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে আছে। পানিবন্দি মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংখট।
কুড়িগ্রামের বন্যার পানি কমেলও দুর্ভোগ কমেনি। শুকনো জ্বালানী না থাকায় দুর্ভোগে আছেন বানভাসি মানুষ।
শেরপুর ও নেত্রকোণায় বন্যার পানি কমে, বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। বন্যা কবলিত বেশিরভাগ এলাকায় নষ্ট হয়েছে বীজতলা ও ফসলের ক্ষেত।