স্বাভাবিক মাত্রার বন্যা মোকাবিলা করার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যা মোকাবেলায় সরকার সব ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। আজ (বুধবার) সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘করোনাভাইরাসের অতিমারির কারণে অনেক দিন পর সরাসরি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তবে আজকে আমার মন ভারাক্রান্ত। আপনারা জানেন, বর্তমানে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুই জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জ সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার এবং হবিগঞ্জও বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, জামালপুর, শেরপুর জেলাসহ ১১টি জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এ ধরনের বন্যার সঙ্গে বসবাস করতে আমাদের দেশের মানুষ অভ্যস্থ। স্বাভাবিক মাত্রার বন্যা মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের সরকারের রয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, মেঘালয় ও আসাম পাহাড়ি এলাকা। ফলে বৃষ্টির পানি দ্রুত ভাটির দিকে সমতল ভূমি- সুনামগঞ্জ-সিলেটে প্রবেশ করে প্লাবিত করেছে এ অঞ্চলের হাওর এবং নদীগুলোর স্বাভাবিক বন্যার পানি ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণ পানি ধারণ এবং পরিবহনের ক্ষমতা এসব হাওর বা নদীগুলোর নেই। ফলে পানি ফুলে-ফেঁপে উঠে গ্রাম, শহর, নগর, সড়ক-মহাসড়ক প্লাবিত করেছে। এবারের বন্যা স্মরণকালের মধ্যে সবচে ভয়াবহতম। বিগত এক শ-সোয়া শ বছরের মধ্যে এত প্রলয়ঙ্কারী বন্যা এ এলাকায় হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষের নেই, সরকারেরও নেই। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমা এবং দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। কোন সরকার সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা সেটাই বিবেচ্য বিষয়। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বন্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছি। কোন সময় ক্ষেপণ না করে সিভিল প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং কোস্টগার্ড, পুলিশ বাহিনীকে নিয়োজিত করেছি।