আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ১০০০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ছয় শতাধিক মানুষ। বুধবার (২২শে জুন) দিনগত রাত ২টার দিকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। একইসাথে পাকিস্তান ও ভারতের কিছু এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়। যার গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫১ কিলোমিটার।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার এ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের খোস্ত শহরে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৪ কিলোমিটার গভীরে।
আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা আটকে পড়েছে তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে আহতদের সরিয়ে নেওয়ার এবং বাড়িঘর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হতে দেখা গেছে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খোস্ত থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিলো ৬.১। মাটির ৫২ কিলোমিটার গভীরে ছিলো এর উৎপত্তি স্থল। সেখান থেকে প্রায় পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতেও ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে।
স্থানীয় এক সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন, এখন পর্যন্ত ১০০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন এক হাজার পাঁচশত মানুষ। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (২২ জুন) দিনগত রাত ২টা ৫৪ মিনিটে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে আঘাত হানে এ ভূকম্পন। পাকিস্তান আবহাওয়া অধিদপ্তরের ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, ইসলামাবাদ, মুলতান, ভাক্কর, ফলিয়ে, পেশোয়ার, মালাকান্দ, সোয়াট, মিয়ানওয়ালি, পাকপত্তন, বুনেরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এতে পাকিস্তানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে তৃতীয়বার ভূমিকম্প আঘাত হানলো পাকিস্তানে। গত শুক্রবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি ও খাইবার পাখতুনখোয়ার কিছু অংশে দুবার ভূমিকম্প আঘাত হানে।